Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌক্তিক সমাধাণের আগ পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাদের স্বাক্ষাৎ ## ধর্মঘট বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা বৈঠক স্থগিত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে স্বাক্ষাতের পরও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেননি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, যৌক্তিক সমাধাণ না মেলা পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না। গতকাল শনিবার দুপুরে ধর্মঘট ইস্যুতে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা। স্বাক্ষাত শেষে বের হয়ে সমিতির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব গণমাধ্যমকে বলেন, যৌক্তিক সমাধাণ পেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সমিতির নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সভার ৪০ মিনিট আগে তা স্থগিতের ঘোষণ দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার সভা অনিবার্য কারণে হবে না। পরে যেদিন সভা হবে যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, শনিবার দুপুরে দু-একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। তবে এটা কোনো বৈঠক নয়।
আব্দুল মোতালেব আরো বলেন, আমরা স্বাক্ষাত শেষ করেছি। এ স্বাক্ষাতে ধর্মঘটের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা শুনেছেন এবং তিনি বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আলোচনা করে মেনে নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। দাবি মানা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। দাবি মানা না হলে পরিবহন ধর্মঘট চলবে।
ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত অতিরিক্ত মহাসচিব আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যৌক্তির দাবির কথা জানাবেন।
তেলের দাম বাড়ানোয় পণ্য পরিবহনে সংশ্লিষ্ট মালিকরা লোকসানে পড়বেন জানিয়ে তিনি বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়ার ওপরে প্রভাব পড়েছে। আগে ভাড়া যেখানে ছিল ১০ হাজার, সেখানে এখন ভাড়া হবে তেলসহ ১২ হাজার। তাহলে কীভাবে আমরা গাড়ি চালাবো? আমাদের লাভের যে অংশটা ছিল তা এখন তেলেই চলে যাবে। লাভ না করতে পারলে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে করবো কী? একটি রুটে যদি ২০০ লিটার তেল খরচ হয় তাহলে খরচের পরিমাণ কতটা বেড়ে গেলো? আমরা নেতৃত্ব দিই, আমরা যদি গাড়ি চালানোর কথা বলি তবুও গাড়ির মালিকেরা গাড়ি চালাবে না। কারণ এটি একটি ব্যবসা। ব্যবসা নাহলে গাড়ি কেন চালাবে তারা? গত বুধবার হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে ৬৫ েেক ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, যা বুধবার রাত থেকে কার্যকর হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়ে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দেয় সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-মালিকরা। পরে সারাদেশে বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতেও ধর্মঘটও শুরু হয়। এ নিয়ে শুক্রবার থেকে সড়কে বের হওয়া সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ