পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক অভিযোজন কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার কপ-২৬ অনুষ্ঠানে ‘অ্যাকশন অ্যান্ড সলিডারিটি-ক্রিটিক্যাল ডিকেড’ শীর্ষক নেতৃবৃন্দের সভায় তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি এ সভার আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের ৫০ অনুপাত ৫০ বরাদ্দসহ বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি উন্নত দেশগুলোর সমর্থন ও সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় নেতৃত্বে অভিযোজন উন্নয়ন করছে। বাংলাদেশ এ বছর ৩ কোটি চারা রোপণ করেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ শুরু করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি উচ্চাভিলাষী ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) পেশ করেছে। বাংলাদেশ তার অভিযোজন উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণসহ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার খসড়াও প্রণয়ন করেছে।
এদিকে সোমবার স্কটল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি এখানে তার বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রবাসীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই গণমুখী। তারা সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা যথাযথ চ্যানেল ব্যবহার করে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য তার সরকার প্রবর্তিত ২ শতাংশ প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একটি পৃথক ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো (আরও যদি থাকে) খুঁজে বের করব এবং আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, সেগুলোর সমাধান করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও সুবিধাজনক করব।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করলে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে তিনি জানতেন না যে তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন, লন্ডনে একটি রোড শো হবে, যেখানে আমি বাংলাদেশ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষকে (বিডা) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের সুবিধার্থে সব বাধা দূর করতে তিনি ইতোমধ্যে বিডাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য তার সরকার বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছে। তবে, তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত আইন মেনে চলার অনুরোধ করেন, কারণ, বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিনিয়োগ বন্ড ও প্রিমিয়াম বন্ড রয়েছে যেখানে প্রবাসীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং সেখানে প্রবাসীরা বিনিয়োাগ করতে পারবেন।
স্কটল্যান্ডে বিএনপির বিক্ষোভের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন কেন তারা এটা করছে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আমার দোষ কি? বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দিয়ে ‘উন্নত চিকিৎসার সুযোগ’ করে দেওয়ার পরও কেন দলটি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলে। তিনি বলেন, যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাকে আমি এইটুকু সুযোগও দিয়েছি। আর কী চায় তারা? তারপরও কিসের ডেমোনেস্ট্রেশন? যেহেতু সে অসুস্থ, তাকে আমরা তার বাসায় থাকতে দিয়েছি এবং তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কই জেলখানায় এই রকম কখনো তো কাউকে এই সুযোগ দেওয়া হয় না। এমনকি তিনি মেইড সার্ভেন্টও নিয়ে গেছেন। কারাগারে মেইউ সার্ভেন্ট পাওয়া যায়- এটা কখনো শুনেছেন আপনারা? আজকে আমি শুনলাম আমার বিরুদ্ধে অনেক ডেমোনেস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে।
আমার প্রশ্ন আমি অন্যায়টা কী করেছি? আমি বাংলাদেশের উন্নতি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি, বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। বাংলাদেশের আর বিদেশিদের কাছে ভিক্ষা করার দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের ৯০ শতাংশের বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিএনপি তাদের শাসনামলের মতো দেশকে আবারও এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ফেলতে চায়। তিনি বলেন, তাদের মতো চোরেরা (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ আবারও অন্ধকারের যুগে নিমজ্জিত হবে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কখনো দেশের উন্নয়ন চায় না, এমনকি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাও চায়নি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার ঢাকা-নিউইয়র্ক এবং ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য আলোচনা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।