স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। গত সোমবার গ্লাসগোতে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে আধঘণ্টার বেশি সময় চলা এ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে বড় আকারে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তারা কৃষি, স্বাস্থ্য ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে প্রস্তাবও দিয়েছে। এ ছাড়া টিকা ও বীজ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন সংস্থাটির প্রধান বিল গেটস। বাংলাদেশের টিকা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন বিল গেটস। এ বিষয়ে আরও সহযোগিতার আগ্রহের কথাও জানান তিনি। বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করছে ফাউন্ডেশন। এ কাজের পরিধিও বাড়াতে চায় তারা। এ সময় বাংলাদেশের বর্তমান স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে বিল গেটসকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী ও বিল গেটস বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদুল হক। ২০১৯ সালের পরও বিভিন্নভাবে দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। তারা দুই বছর আগে স্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন ও কৃষি উদ্ভাবনে আগ্রহী বলে জানিয়েছিল।

গত ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে। এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ব্যবসায়ীদের মোট ৪৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। এবারের সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখা, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম বৃদ্ধি, লোকসান ও ক্ষতির জন্য একটি পৃথক সেক্রেটারিয়েট স্থাপনসহ একাধিক দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশের।