পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কমিশন বিব্রত বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কি ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আশা করি আগামী ৪ তারিখে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তিনি বলেন, অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেবো। নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা কেন ঘটছে? মাঠপর্যায়ে কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা বারবার বলি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, নির্বাচনে যে সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেটা সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ফৌজদারি ঘটনা ঘটলে, সেটা আমরা এখানে বসে কিছু করতে পারি না। এগুলো পূর্বপরিকল্পিত হয় না বা প্রশাসন তা আগে থেকেই জানতে পারে না। ফৌজদারি ঘটনাগুলো ঘটলে তা মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা আছে। শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এই বিষয়ে কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটা পেলেই আমরা সঠিক যে অবস্থান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। সাতদিনের মধ্যে আমরা এটি জানতে পারবো।
রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পজেটিভলি দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা খুব পজেটিভলি দেখছি না। দুঃখজনক হলেও সত্যি। এই সমস্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সকলেরই। আমরা তার ব্যবস্থাপনায় থাকি শুধু। সুতরাং তারা আরো প্রোঅ্যাকটিভ যদি হয়, তাহলে এগুলো আরো কমে আসবে। এসময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই মাত্র বক্তব্য সেটা হলো নির্বাচনের যে সমস্ত বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন, যেই ধাপগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সরাসরি বার্তা দিতে চাই। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পরে কিন্তু এর দায় তাদের উপরেই বর্তাবে। আমরা তাদেরকেও জবাবদিহিতার অধীনে আনবো।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারের কাছে বলতে চাই, সেটা হলো দয়া করে উনারা যেনো একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করেন। যাতে করে এই সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। যদি সহিংসতার ঘটনা না হয়, তাহলে এই রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। কোনো ছেলে পিতৃহারা হবে না। এই ধরণের ঘটনা অন্তত সীমিত হয়ে আসবে। এইটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র বার্তা। এসময় নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।