পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বাস্তবায়নে সকল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর দেশ উপহার দেয়া আমাদের দায়িত্ব। গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। তার জন্য গুচ্ছভিত্তিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে হবে আবাসিক এলাকা। কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। যেন সব মানুষ এক জায়গায় সুবিধাগুলো পায়। আর মাষ্টার প্ল্যান করলে একইভাবে করতে হবে।
তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়নে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘ আমার গ্রাম - আমার শহর ’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন , সকল অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে । এতে করে বিদ্যুৎ , গ্যাস , পানি ও সুয়ারেজের লাইন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে । মানুষকে গ্রামে রাখতে হলে সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ - সুবিধা যেমন - কর্মসংস্থান , ব্যাংক - বীমা , গ্যাস - পানি - বিদ্যুৎ স্যানিটেশনসহ সকল ধরনের সুবিধা সরবরাহ করতে হবে । দেশের বড় বড় শহর - নগরের মত গ্রামগুলোকে ক্ষত - বিক্ষত হতে দেয়া যাবে না ।
গ্রাম - গঞ্জে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে মো . তিনি বলেন , দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনো অনিয়ম করলে তাদেরকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে ।
শহর - নগরের ন্যায় গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন , শহরের সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ - সুবিধা পৌঁছে দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন গ্রহণ করেছেন । এই দর্শন বাস্তবায়নের পর গ্রাম শহরের কোন বৈষম্য থাকবে না ।
আধুনিক চাষাবাদের উপর গুরুত্বারো প করে তিনি আর ও বলেন , সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদে উৎপাদন বেড়েছে । কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ও বগুড়ায় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে । এই দুই জায়গায় সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে । এখন দেশের প্রতিটি সংসদ সদস্যর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিতে অনেক বড় সাফল্য আসবে ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতী , পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ( সচিব ) মামুন আল রশীদ ও রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস , জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইয়োহো । এছাড়া , স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ , সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট , স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর - এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং আমার গ্রাম আমার শহর কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ( এলজিইডি ) উপদেষ্টাগণ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।