পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সংক্রমণপ্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচির জন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের কাছ থেকে সিরিঞ্জ কিনছে জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন তহবিল (ইউনিসেফ)। এজন্য আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জেএমআইকে চাহিদাপত্র দিয়েছে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য জেএমআইয়ের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি সই করেছে সংস্থাটি।
চুক্তি অনুযায়ী ৩১ জুলাই ২০২২ সালের মধ্যে সিরিঞ্জগুলো সরবরাহ করতে হবে জেএমআইকে। এছাড়াও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত জেএমআই-এর কাছ থেকে ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার সিরিঞ্জ কিনে নিয়েছে ইউনিসেফ।
করোনার টিকা দেয়ার জন্য ব্যবহৃত অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ এক ধরনের বিশেষায়িত পণ্য, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পিকিউএস সনদ নিয়ে বিশ্বের অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান উত্পাদন করে থাকে। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী এ পণ্যটির সরবরাহ সংকট চলছে। দেশের একমাত্র এডি সিরিঞ্জ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড।
২০১২ সাল থেকে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেসের রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ। যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দিনে গড়ে ২০ লাখ সিরিঞ্জ বানাতে পারে। সে হিসাবে মাসে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ছয় কোটি পিস।
গত জুনে বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কেটস অ্যান্ড রিসার্চ ডট বিজ প্রকাশিত গবেষণায় ২০২০ সালের গ্লোবাল অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ ইনজেক্টর মার্কেট-এ আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম ওঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড-এর। এছাড়াও চলতি বছরের মার্চে নিউ ইয়র্ক রির্পোটসের এক প্রতিবেদনেও গ্লোবাল মার্কেট লিডারদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত এডি সিরিঞ্জ।
করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও যেখানে সিরিঞ্জের অভাবে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সেখানে অনেকটাই নিশ্চিন্ত বাংলাদেশ। দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে তিন কোটি ৩০ লাখ সিরিঞ্জ নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করেছে জেএমআই গ্রুপ। আরও প্রায় ২৮ কোটি সিরিঞ্জ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত ২২ সেপ্টেম্বর জেএমআই থেকে ১১ কোটি সিরিঞ্জ কেনায় অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
দেশের চাহিদা পূরণ, শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফকে সরবরাহ করাসহ করোনার টিকাদানের জন্য জেএমআইয়ের সিরিঞ্জ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
জেএমআই গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে চলা গণটিকাদান কর্মসূচিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সময়মতো ৬৪ জেলায় নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে সিরিঞ্জ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। কেননা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সবচেয়ে বড় কার্যক্রমে অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে জাপানের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নিপ্রো করপোরেশনের বিনিয়োগ। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সাল থেকে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) নিরবচ্ছিন্নভাবে সিরিঞ্জ সরবরাহ করে আসছে। বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে এক দিন থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানে সব সিরিঞ্জ সরবরাহ করেছে জেএমআই।a
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।