পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্য স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ২শ’ পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ হবে। কৃষকের নায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি, মমতাজ বেগম এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদ ইকবাল রেজভী, মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, মানিকগঞ্জের এসপি গোলাম আজাদ খাঁন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধীতা করে বলেছিল এ সরকার তা করতে পারবে না। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। করোনায় খাদ্যের অভাবে এ পর্যন্ত একজন লোকও মারা যায়নি। অথচ তারা বলেছিল করোনায় ২ লাখ লোক মারা যাবে। বর্তমানে গ্রাম-গঞ্জের মা-বোনরা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মাখে। এটাই এ সরকারের উন্নয়ন। আগে লোকজন খালি গায়ে ও খালি পায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসতো। আর এখন ভালো-ভালো পোশাক পড়ে আসে। এটাই হচ্ছে উন্নয়ন। বিএনপি আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত সার নিতে আসা কৃষকদের শ্রদ্ধা জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের আট বিভাগে ২৩ জেলার ৫৫টি উপজেলায় ৩ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলায় ১৩ হাজার পিস পারিবারিক সাইলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। এরমধ্যে শিবালয়ে ৫ হাজার পিস, দৌলতপুরে ৪ হাজার পিস এবং হরিরামপুর উপজেলায় ৪ হাজার পিস পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিজিটালাইজ করা হবে। উপকারভোগী প্রত্যেককে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। একজনের কার্ড দিয়ে অন্য কেউ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল তুলতে পারবে না। খাদ্য গুদামগুলোতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তিন দেশের ঠিকাদারদের সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের লোকেরা একেবারেই ভালো হয়ে গেছে তা বলবো না। তবে তাদের সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এ জন্য জনগণ, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।