ঢাকার সাভারের তুরাগ নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের (কার্গো) ধাক্কায় ১৮ যাত্রীসহ একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছে আরও ২ জন। এর মধ্যে সন্ধ্যা হওয়ায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দিন মনি শর্মা জানান, ৫ জনের লাশ লাশ করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২ জন। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু হবে। এর আগে গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাভারে আমিনবাজার তুরাগ নদের গাবতলী ও দ্বীপনগর পাড়ের মাঝনদীতে এ ঘটনা ঘটে।
সাভার মডেল থানার এসআই সুজন শিকদার জানান, আমিনবাজার থেকে ট্রলারটি ১৮ যাত্রী নিয়ে ভোরে কয়লা আনলোডের কাজে যোগদানের জন্য দ্বীপনগর পাড়ের দিকে যাচ্ছিলো। মাঝনদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ১১ জন পুরুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নারী ও শিশুসহ নিখোঁজ হয় ৭ জন।
খবর পেয়ে সাভার ও সদর দফতর ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দুই শিশু ও এক নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। নৌকা ডুবির প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে আরও এক শিশু ও সাভারের বলিয়ারপুরের যাদুরচর এলাকার নদী থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে সাভার থানা পুলিশ। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও ২ জন। তবে উদ্ধার হওয়া শিশু ও ওই নারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সাভার মডেল থানা পুলিশ ।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুজন শিকদার বলেন, আমরা তুরাগ নদের যাদুরচর এলাকা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছি। তার প্রাথমিক সুরতহাল চলছে। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নৌকা ডুবিতে নারীর মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত জনা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ট্রলারের সবাই সিলেটের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি। তারা সকলেই আমিনবাজার ইউনিয়নের বড়দেশী গ্রামে ভাড়া থেকে কয়লার কাজ করতো। বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আমিনবাজার নৌ পুলিশের ওসি আলমগীর শেখ জানান, বালুভর্তি বাল্কহেডটি (কার্গো) আটকের চেষ্টা চলছে।