আশি^ন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ অতিবাহিত হচ্ছে। শরৎ ঋতু প্রায় বিদায়বেলায়। আশি^নের গোড়া থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত কড়া সূর্যের দহনে চৈত্র-বৈশাখের মতো তাপদাহ এবং অনাবৃষ্টিতে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করে। তবে এখন শরতের শেষ প্রান্তে এসে দেশের অধিকাংশ জেলায় গত তিন-চার দিন যাবত কমবেশি হিমেল দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

তাপদাহের দাপট কমে গিয়ে তাপমাত্রা অনেক স্থানে সহনীয় রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় টাঙ্গাইলে ১২১ মিলিমিটার। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সদ্য কেটে যাওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ এবং মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর দ্বিমুখী প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবারও দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে।

এ সময়ে ঢাকায় ১৭ মি.মি., কিশোরগঞ্জে ৬৫, নেত্রকোণায় ২০, সন্দ্বীপে ৫২, কুমিল্লায় ১৬, সিলেটে ২৫, শ্রীমঙ্গলে ৩১, দিনাজপুরে ৯৯, ডিমলায় ২২, বরিশালে ৩৫ মি.মি.সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ এবং সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ২৩.২ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৬ এবং সর্বনিম্ন ২৭.২ ডিগ্রি সে.। আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমতে পারে। মৌসুুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।