পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা আসার পর সহায়তার পাশাপাশি কেউ যেন ভিন্ন উদ্দেশ্যে তাদের ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ নির্দেশনা দেন। আলাপচারিতায় উপস্থিত একাধিক ছাত্রলীগ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-
শিক্ষাঙ্গন খুললে স্বল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যেন টিকা পেতে পারে, সে কারণে তাদের জন্য ফাইজার ও মডার্নার টিকা আনা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জাতিসংঘে যাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাতের তারিখ নির্ধারণ হয়েছিল। তবে সময় না মিলায় তখন তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে গতকাল সদ্যসমাপ্ত নিউইয়র্ক সফর ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ছাত্রলীগ নেতাদের গণভবনে ডেকে নেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সংবাদ সম্মেলনে চলে। সেখানে মন্ত্রী, সচিব ও সাংবাদিকদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের এই নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে শেখ হাসিনা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে তাদের সঙ্গে আলাপ করেন।
এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনজিদ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
গণভবন সূত্র জানায়, শুরুতেই উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের কথা বলতে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তুলে ধরেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে করণীয় কী হবে এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চান। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চেনা পরিবেশ ফিরে আসুক। তবে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশ যেন বিঘœ না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে কোনো মহল যেন শিক্ষার্থীদের ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকেও মনোযোগী হতে হবে। কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে কিংবা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বরত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চার নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বিএম মোজাম্মেল হক ও বাহাউদ্দিন নাছিমের পরামর্শ নিতে বলেন তিনি।
এ সময় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় হল কমিটির বিষয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনজিদ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, অনেক দিন হলো ঢাবির হল কমিটি হয় না। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও এক ধরনের হতাশা দেখা দিয়েছে। তখন নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাড়াহুড়া না করে বিশ^বিদ্যালয় খোলার পর পরিস্থিতি দেখো, তার পর ধীরে সুস্থে কমিটি দেওয়ার প্রস্তুতি নাও।’ এ সময় হল কমিটি সম্মেলনের উদ্বোধনে অতিথি থাকার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান সনজীদ।
প্রসঙ্গক্রমে শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সব নেতাকে রাজনীতির পাশাপাশি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে এবং চাকরির প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সবাই নেতা হবে না, সম্ভবও নয়। এ জন্য পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।
ছাত্রলীগের দুই নেতা জানান, অনেক দিন পর নেত্রীকে কাছে পেয়ে তারা খুব আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী সকালে মন্ত্রিসভা, বিকালে সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিন অতিক্রম করেছেন। তার পরও তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাদের কথা শোনায় তারা খুবই উচ্ছ্বসিত।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। নেত্রী আমাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আমরা যেভাবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি তা অব্যাহত রাখার জন্যও তিনি বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।