প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : অতি বৃদ্ধ নারীদের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান ভিন্নরূপ ধারণ করে। অধিক বয়স বলতে শরীয়ত বোঝাতে চায়, যাদের দেখলে পরনারী দেখার যেসব অনিষ্টতা হওয়ার কারণ ঘটে, সেসব তাদের বেলায় থাকে না। বিশেষ করে যাদের সাথে বিয়ে শাদী বা যৌন বিষয়ে ভাবনা কল্পনাও আসে না, এমন বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে পর্দা সামান্য শিথিল হয়ে যায়। আপনি যেসব ক্ষেত্রে লাশ দেখার কথা বলেছেন, সেখানে মাসআলা দুই রকম, যদি জীবিত অবস্থায় এসব নারী আপনার সামনে না এসে থাকেন, তাহলে মৃত্যুর পর তাদের চেহারা না দেখা আপনার ধর্মীয় দায়িত্ব। আর যদি অধিক বয়সের কারনে জীবদ্দশায় তারা আপনার সাথে পর্দা শিথিল করে থাকেন, তাহলে মৃত্যুর পরও এক নজর দেখা যেতে পারে। এখানে ব্যাপক বিধানের চেয়ে সেই নারী বা একজন পুরুষের ব্যক্তিগত পরহেজগারি, পছন্দ ও রুচিই প্রাধান্য পাবে। কারণ, ফতোয়ার চেয়ে তাকওয়াকে শরীয়ত প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।