পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীর সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। সোমবার সকালে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, পরিবার থেকে আমরা জানতে পেরেছি,কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পেটের অসুখসহ অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছেন।আমরা অবিলম্বে রিজভীর সুচিকিৎসা ও তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আসলাম চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তিও দাবি জানান দুদু।
গত ১৮ আগস্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমপর্ন করলে রিজভীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত শনিবার কাশিপুর কারাগারে দেখতে যান তার স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কারাগারে তার স্বামী গুরুতর অসুস্থ।
অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের আমলে রিজভীর পেটে গুলি লাগার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে খাদ্য নালীর কিছু অংশ কেটে ফেলার কারণেই তিনি প্রায় সময়ই পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন এবং অনর্গল বমি করতে থাকেন। এরকম সমস্যা হলেই তিনি খাবার খেতে পারেন না। তাকে স্যালাইনের মাধ্যমে তরল খাবার খেতে হয়। গত ১৮ আগস্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমপর্নের আগে রিজভী পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করলে স্কয়ার হাসপাতালে পেটের পীড়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি অভিযোগে করে বলেন, সরকার দেশের আইন কানুন ও বিচারিক রায়কে পর্য়ন্ত শ্রদ্ধা করে না। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে করলেও কারাফটক থেকে নিত্য-নতুন সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় আটকে রাখছে। এরপরেও কেউ জমিন নিয়ে মুক্তি লাভ করলেও কারাফটক থেকে নিত্য-নতুন সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখি পুনরায় আটক করে কারাগারে বন্দি করে রাখছে।
সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এহেন তৎপরতা দেশের আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণের প্রকৃষ্ট উদাহরন। আমরা এই ধরণের বেআইনি কর্মকান্ড থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আজম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আজিজুল বারী হেলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।