পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংগ্রামী উপাখ্যান এবং এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম। তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। তার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ একটি রাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সংকলিত ‘আলোকচিত্র অ্যালবাম’ এর মোড়ক উম্মোচনকালে মন্ত্রী ওই কথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। আমি কিছুদিন তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দেখেছি, তিনি নিজের ঘরে জন্মদিন পালন করেন না। কেক কাটেন না। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তাতে যেতে চাননা। তাই তাকে না জানিয়েই আমরা দলের পক্ষ থেকে তার জন্মদিন পালন করি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে প্রার্থনা করি যেন আমরা তার শততম জন্মদিন পালন করতে পারি এবং ওই দিন পর্যন্ত যেন আমি বেঁচে থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ছোটবেলা থেকে সংগ্রামী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ ছিলেন জেলে। যে কারণে সব সময় তিনি বাবাকে কাছে পাননি। তার বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলে। সন্তান হওয়ার সময় ফাঁসির মঞ্চে। রাজনীতির কারণে বাবাকে তিনি ও তার অন্য ভাই বোনেরাও সেভাবে কাছে পাননি।
শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে এখন কুঁঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায়না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায়না, মানুষ খালি পায়ে থাকেনা। তার নেতৃত্বে দেশে ৪০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য ২০ শতাংশে নেমেছে। দেশ বদলে গেছে, আকাশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম চেনা যায় না। এটা কোনো জাদুর কারণে নয়, এটা শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে বদলেছে। আমাদের কামনা, তিনি অব্যাহতভাবে এইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যান এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, এবারও আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। সংবাদপত্র, বিটিভি, বেতারের আয়োজনসহ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী মোট ১৪টি অনুষ্ঠান হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ফিরে এসে দলের সভাপতি হওয়ার পরে সে শূন্যতা পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।