দেশে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় হটস্পট বলা হতো ঢাকা মহানগরী ও নারায়ণগঞ্জকে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এসে আতঙ্ক ছড়ায় খুলনা। এখন দ্বিতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রতিদিন আক্রান্ত ও উপসর্গে মৃত্যুর সংবাদ নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। গতকালও উপসর্গে রামেকে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের প্রতিবেদন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনায় আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন ল্যাবে এক হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের হার ২ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ২২ জন এবং ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৫১৬ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক হাজার ২৮৯ জন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ জনই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। ৫ জনের মধ্যে রাজশাহীর ২ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন, নওগাঁর ১ জন ও পাবনার ১ জন রোগী ছিলেন। তাদের ৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ভর্তির পর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের আগেই তাদের মৃত্যু হয়। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু ও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৭ হাজার ৯৫৯ জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগে করোনা সাংক্রমণ কমেছে। ফলে চাপ কমেছে হাসপাতালগুলোতে। মৃত্যু ও শনাক্তের হারও কমেছে। চার মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগজুড়ে করোনায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১ হাজার ৮০ টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩.৯১ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১০ জন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে মৃত্যুহীন ৮ম দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বরিশাল ও ভোলাতে দুজনের মৃত্যুর পরে গত ৮ দিনে এ অঞ্চলে আর কোন মৃত্যু হয়নি। তবে এসময়ে আরো ১৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি মাসের ২৪ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে ১ হাজার ১১৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর এখনো আক্রান্তের তালিকায় মহানগরীসহ বরিশাল জেলাই শীর্ষে রয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ৪৭ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ ৩ দিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২২৩ জনের। তবে এ অঞ্চলে এখন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪%-এ কিছু বেশি।