পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ডেমরায় ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন খানকে বিনা দোষে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর বিরুদ্ধে। এ সময় আনোয়ার হোসেনের মাথায় তার অফিসে থাকা চেয়ার ও পানির গ্লাস ছুঁড়ে মারেন এমপি মনু। এছাড়া এ সাব-রেজিষ্টার অফিস থেকে তাদের চলে যাওয়ার জন্য নানা হুমকি ধমকিসহ প্রতিদিন রেজিষ্টার করা দলিল প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ওই সাব-রেজিষ্টার অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সাব রেজিষ্টার অফিসের লোকজন চরম আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত দলিল লেখকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বিকালে এমপি মনুর শ্যালক রবিন ৫০/৬০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে মনু সমর্থক শতাধিক লোকজনকেসহ এমপি ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকায় ডেমরা সাব-রেজিষ্টার অফিসে আসেন। এ সময় দ্রুত তিনি দলবল নিয়ে মল্লিকা ফেরদৌস টাওয়ারের দ্বোতলায় ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির অফিসে গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। পরে নিচে আনোয়ার হোসেনের অফিসে এসে তাকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, হঠাৎ এমপি আমার অফিসে এসে আমাকে মারধর করে নানা হুমকি ধমকি দেয়। এ সময় তিনি আমার চোখ তুলে ফেলবেন বলে আমার চোখেও আঙ্গুল দেন। উত্তেজিত কন্ঠে এমপি আমাকে বলেছেন-তুই আমাকে চিনিস, আমি যাত্রাবাড়ীর ছেলে। এখান থেকে তুই চলে যাবি যদি তোর ভাল চাস। আর রেজিষ্টার করা দলিল প্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিবি, অন্যথায় দলিলের রশিদ দেওয়া হবে না। কেন তিনি এমন কাজ করছেন এ বিষয়ের প্রকৃত কারণ আমি জানিনা। আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর আগস্টে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্বের ন্যয় ২৩ সদস্যবিশিষ্ট ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করি যা ৩ বছর মেয়াদি। এদিকে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ইন্তেকালের পর গত বছর ১৭ ই আগস্ট এ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তারপর এ বছর মার্চ মাসে হঠাৎ করে এমপির পিএস জিয়ার নেতৃত্বে এমপির বাহিনী সাব-রেজিষ্টার অফিসে এসে আমাদের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি নতুন করে এমপির স্বঘোষিত অবৈধ কমিটির ঘোষণা দিয়ে সমিতির অফিস নিজেদের দখলে নেন। বর্তমানে সরকারি অনুমোদনকৃত আমাদের নির্বাচিত কমিটিকে তারা কোনঠাসা করে রেখেছেন। আর এমপির ঘোষণা করা অবৈধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন তাদের রাম রাজত্ব চালাচ্ছেন সাব-রেজিষ্টার অফিসে। বর্তমানে সাব-রেজিষ্টারসহ এ অফিস সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষ জিম্মি দশায় রয়েছেন। আমরা এখন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ফাইজুল হক খান বলেন, এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু কেন হঠাৎ এমন কাজ করলেন আমরা তা বুঝতে পারছিনা। বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এখন আমরা একটা আতঙ্ক পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর মোবাইলে কল করে তাকে পাওয়া না গেলেও তার পিএস জিয়া মোবাইল ফোনে জানান, এমপি মহোদয় সংসদে আছেন পরে কথা বলতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।