Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাব্যবস্থায় আসছে আমূল পরিবর্তন: যা বলছেন নেটিজেনরা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৪৬ পিএম

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত আসছে আমূল পরিবর্তন। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না কোনো পরীক্ষা। দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনটি পাবলিক পরীক্ষা থাকবে। একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে বিভাগ নির্ধারণ করতে হবে। বাতিল হবে প্রাথমিক সমাপনী-ইবতেদায়ী সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা।

প্রস্তাবিত এই শিক্ষাক্রম আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালে গিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদন দেয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সচিবালয়ে প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।

প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা নানা মতামত দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।

এ প্রসঙ্গে এমডি শাহিন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আপনাদেরকে। বাচ্চাদের জীবন থেকে এ পরীক্ষা নামক প্রেসার তুলে নেওয়া জন্য। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির এই দু’টো পরীক্ষার সময় হলে টিচাররা যেভাবে বাচ্চাদের মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করতো আর ব্যাগ ভর্তি বই কিনতে বলতো, এক এক দিন এক এক বই কেনার জন্য বলতো; এ কথায় এ পরীক্ষা দু’টো বাচ্চাদের জীবনের জন্য কষ্টের হয়ে যেতো। একটা এখন বলা যেতে পারে একটা ব্যবসা বন্ধ হলো। আপনাদেরকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ।’

শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জাকির হোসাইনের আবেদন, ‘মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, এবার থেকেই পি এস সি বন্ধ করে দিন। তাতে জনগণ ভীষন উপকৃত হবে। সরকার হিসাবে আপনারা সুনামের ভাগীদার হবেন।’

এই দাবির সাথে আর একটু জোগ করে শারমিন চৌধুরী লিখেছেন, ‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, ২০২১ থেকেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা তুলে দিন। শিক্ষা তো জাতির মেরুদণ্ড মজবুত করার জন্য, ভেঙ্গে দেয়ার জন্য না। সাথে আরেকটা অনুরোধ গণিতের সৃজনশীল তুলে দিন। কারণ সবার মেধা এক নয়, সব বাচ্চা অংক ভালো পারে না।’

ইয়াসিন মাসুদের পরামর্শ, ‘দিন দিন শিক্ষাকে পরিবর্তন না করে দেশের শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তাতে দেশের ও জনগণের লাভ হবে, ইনশাআল্লাহ। চীন, জাপান, কোরিয়া দিকে তাকান, তারা কত এগিয়ে আছে।’

ধন্যবাদ জানিয়ে রক্তিম আনন্দ লিখেছেন, ‘অনেক সুন্দর সিস্টেম। এতদিনে বুঝি শিক্ষা অগ্রসর হবে, আশা করি। ধন্যবাদ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে।’

ভিন্ন মত পোষণ করেছেন রবিউল কাওসার। তিনি মনে করছেন, ‘পিইসি ও জেএসসি থাকা দরকার।’

কেএম সজিব ইসলামের জিজ্ঞাসা, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে কোরআন শরীফ শিক্ষা করার ক্ষেত্রে সকল মুসলিম শিশুদের জন্য কি কোন ব্যবস্থা আছে?’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ