পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলভাগসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শরতের এ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান খাদ্য ফসল আমনের ঝুঁকি যথেষ্ট বৃদ্ধি করছে। বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকার ফসলি জমি, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এবং চরাঞ্চল পুনরায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
অথচ ভাদ্রের অমাবশ্যার প্রভাবে মাত্র ৫ দিন আগেই দক্ষিণাঞ্চল আরো একবার প্লাবনের শিকার হয়েছিল। সে ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই পুনরায় এ প্লাবন দেশের উত্তর ও মধ্যভাগের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি বিলম্বিত করার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার প্রায় সোয়া ৭ লাখ হেক্টর জমির সদ্য রোপা আমনকে পুনরায় ঝুঁকির মুখে ফেলল।
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেতের পাশাপাশি পায়রাসহ সবগুলো সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। সাগর মাঝারি মাত্রায় উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটা সৈকতে গর্জনের সাথে ৪-৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সব ট্রলারকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি সাগরে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া বিভাগ। দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও গোটা উপকূলভাগে পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত বরিশালে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িশ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সকাল ৯টায় একই এলাকায় অবস্থানের কথা জানিয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবার কথা বলা হয়েছে। ঝড়টি এসময়ে পায়রা বন্দরের ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার হলেও দমকা আকারে তা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাঝারি আকারের এ নিম্নচাপটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলভাগের প্রশাসন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। প্রয়োজনে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উপকূলভাগের ১৩ জেলার ৪১টি উপজেলার ৭০১টি ইউনিটের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রায় ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে কাজে লাগানো হবে। তবে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি ও একের পর এক জনপদ মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে পুনরায় প্লাবিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী আরো একবার বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন। পাশাপাশি উঠতি আউশ ও রোপা আমনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তারও শেষ নেই। গতবছরও ভাদ্রের বড় অমাবশ্যার ভয়াবহ প্লাবনে সাড়ে ৭ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত দক্ষিণাঞ্চলে দেড় লক্ষাধিক টন আমন চালের উৎপাদন কম হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।