পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যান্য খাতের মতো দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টিখাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন অডিটোরিয়ামে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এর প্রস্তুতির জন্য আয়োজিত ‘স্টেজ-থ্রি: মেম্বার স্টেট ডায়ালগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সবার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এরই মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে। সরকার বর্তমানে সবার জন্য পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে ২০২১ সালে ‘ফুড সিস্টেম সামিট’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ সামিটের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় পর্যায়ে ডায়ালগ বা সংলাপের আয়োজক (ন্যাশনাল কনভেনার) হিসেবে মনোয়ন পেয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য পাথওয়ে ডকুমেন্ট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যম বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এ বিষয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সে লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। এজন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের নিরলস প্রচষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বঞ্চনা দূরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সারিতে আসন নিশ্চিত করতে চাই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছা. নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।