Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ ৫ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে আরও পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে। আজ রোববার ৮৭৯ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করবেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো- হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩ এর ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের জুলদায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২২৫ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উন্নীতকরণ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার সফলতার সঙ্গে ১১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে যার উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। কিন্তু এর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে (ক্যাপটিভ বিদ্যুতসহ), যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আমরা প্রায় ৯৯.৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে পেরেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে এই সেক্টরের গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিয়েছে। সরকারের আন্তরিক ও নিরলস প্রচেষ্টায় মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫৬০ কিলোওয়াট-এ পৌঁছেছে। যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ২২০ কিলোওয়াট এবং সিস্টেম লস ১৪.৩৩ শতাংশ থেকে ৮.৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই পাঁচ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যিক উৎপাদন আগেই শুরু হলেও আজ রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল ২৭টি। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত তার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৬টি। ওই সময় দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল আর এখন তা প্রায় শতভাগ অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। এই বছরে বিদ্যুতের গ্রাহক ১ কোটি ৮ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ। গ্রাহক যেমন বেড়েছে তেমনি কমেছে সিস্টেম লস। ১২ বছরে সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৩৩ থেকে কমে ৮ দশমিক ৪৮ হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ