পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি থামছেই না। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন মানুস। এসিড মশাবাহিত এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০১ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের ধারণা এই আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন; কিন্তু ওই সব হাসপাতালের মালিকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিয়মিত রিপোর্ট করেন না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩০১ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতাতলে ২৫৩ জন এবং ঢাকার বাইরের সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৮ জন।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট এক হাজার ২৭১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৮৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ১৮৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ১৩ হাজার ৫৫৬ জন। একই সময়ে তাদের মধ্য থেকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ২৩১ জন রোগী। তবে এখণ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫৪ জন।
দেশে করোনাভাইরাস
মৃত্যু ৪৮, শনাক্তের হার ৭.০৩ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৮০ জন। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩২৭ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪২ জন। ২৮ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। মৃত ৪৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ২৬ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৫ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪০টি, জিন এক্সপার্ট ৫৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০৫টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২ লাখ ২১ হাজার ৬৫৯টি। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে ২ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৪ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের একজন রয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৫১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৫৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৯ হাজার ৬৭৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।