পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভবিষ্যতে যারা দক্ষতার সঙ্গে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবে নৌ ও বিমান বাহিনীর সেসব সদস্যদের পদোন্নতি দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতিগুলো নিয়েছেন টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) আমি মনে করি, এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আপনারা নির্বাচনী পর্ষদ আগামীতে যারা দক্ষতার সঙ্গে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী পরিচালনা করবে তাদের নির্বাচিত করবেন।
নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১ এর (প্রথম পর্ব) ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা সেনানিবাসের নৌ এবং বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ যারা তারা প্রমোশন পেয়ে প্রত্যেকটি বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চলবে এবং দেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।
সরকার প্রধান বলেন, আমি এটাও বলবো যে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে কর্তব্য পালনে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে। কাজে তারাও যেন অবহেলিত না হয় সেদিকটাও আপনারা বিবেচনা করবেন। করোনা মহামারির সময়ে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় এই কাজটি করে থাকে। যখনই দুর্যোগ এসেছে সাধারণ মানুষ আপনাদের সেবা পেয়েছে।
নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের মেয়ে, আমি শুধু শাসক নই, বাংলাদেশের মানুষের সেবক। জনগণের সেবা ও কল্যাণ করাটাকেই আমি সব থেকে বড় কাজ বলে আমি মনে করি। সেই ব্রত নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি এবং দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা সবসময় কামনা করি।
রাষ্ট্র পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সশ্রস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে নৌবাহিনী সদর দপ্তরে আয়োজিত নৌ বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন থেকে কমডোর, কমান্ডার থেকে ক্যাপ্টেন লে. কমান্ডার থেকে কমান্ডার পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন থেকে এয়ার কমডোর, উইং কমান্ডার থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লিডার থেকে উইং কমান্ডার পদে যোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশকে রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। উদার পররাষ্ট্রনীতি এবং যুদ্ধ নয় শান্তির পক্ষে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে একটি কথা স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তি চাই। কারণ শান্তি ছাড়া কোনো দেশের উন্নতি করা সম্ভব নয়। যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে, আমরা ধ্বংসের পথে যেতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করে, বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার সব রকম প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সব সময় প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জামাদি সবদিক থেকে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে তার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেভাবে প্রশিক্ষণও অব্যহত রাখতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে আমরা চলতে পারি, সেই প্রস্তুতিও আমাদের থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।