পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এলডিসি বা স্বল্পোন্নতের তকমা কখনোই সম্মানের হতে পারেন। দরিদ্র হয়ে জন্ম নেয়া অপরাধ নয়, কিন্তু দরিদ্র হয়ে বেচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ। কেননা আমাদের রয়েছে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা। জন্মগতভাবে আমরা সবাই সমান নই কিন্তু আমাদের অবস্থার উন্নতির জন্য রয়েছে এক বা ভিন্ন ভিন্ন রকমের সুযোগ ও সক্ষমতা। আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই, বিশেষ করে ২০০ বছর পূর্বেও দেখি, আজকের উন্নত দেশগুলো বর্তমান অবস্থাতে ছিলনা। তাদের এখনকার সুযোগ সুবিধাগুলো তখন তাদের ছিলনা। তখন দরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন অবস্থা ছিলা ৮০ এবং ২০ অনুপাতে, আর এখন এটি সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায় বিরাজমান। কেউ যদি তার পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা না করে, তাহলে কেউই তাকে দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে না। আর যদি সত্যিই অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়, অবশ্যই সফলতা আসবে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সুজাইজারল্যান্ডের জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়ে ইউএনএলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য উচ্চ পর্যায়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল পর্যালোচনা সভায় যোগ দিয়ে সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী বিখ্যাত স্বনামধন্য নেতা বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয় বরং নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে উন্নতি করতে হয়। আমাদের জাতির পিতার রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই নীতিতে বিশ্বাস করেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এটা অত্যন্ত দু:খজনক যে, ইস্তাম্বুল কর্মসূচির মেয়াদ (২০১১-২০২০) শেষেও ২০২০ সালের মধ্যে এলডিসির সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। মাত্র চারটি দেশ উত্তরণ লাভ করেছে এবং বাকি পাঁচটি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সকল প্রতিনিধিদের উদাত্ত আহ্বান করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পরিবর্তনে সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সকল জাতিতে জাতিতে বিভেদ নিরসনে সকল উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশকে পারস্পারিক আন্তরিক সহযোগীর হাত প্রসারিত করতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সকলকে একসাথে নিয়েই উপরে উঠতে হবে। পরে অর্থমন্ত্রী ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করতে সকলকে আহ্বান জানান।
সভায় মালাউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইজেনহাওয়ার মকাকা, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও হাই রিপ্রেজেনটেটিভ এবং জাতিসংঘের ৫ম এলডিসি সম্মেলনের মহাসচিব কোর্টনি রাট্রে এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইসকাপ’র নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়া আলিসজাহবানসহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান রাখেন। সকলেই ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনকে সার্থক করার লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, কোভিড-১৯ মহামারীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।