Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৬ হাজার মেট্টিক টন চাল আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

১৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ আগস্ট সংস্থার রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক সচি ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, ১ নং কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহেদ হোসেন চৌধুরী, ২নং কাটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম (রফিক), ৩ নং শাখাহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ৪ নং রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল লতিফ সরকার, ৫ নং সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাকিল আলম, ৬ নং দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, ৭ নং তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.আতিকুর রহমান আতিক, ৮ নং নাকাই ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল কাদের প্রধান, উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, ১০ নং রাখাল বুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, ১১ নং ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান মালো, ১২ নং গুমানিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, ১৩ নং কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান মো.শরিফুল ইসলাম রতন, ১৪ নং কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন, ১৫ নং শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মÐল, ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, ১৭ নং শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান মো.আমির হোসেন শামীম। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মোছা. গোলাপী বেগমকেও আসামি করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলার গােবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয সভার অনুকূলে জিআর এর বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৮২৩ মেট্টিক টন (প্রায় ৬ হাজার মেট্টিক টন) সরকারি চাল আতœসাত করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাল কাগজপত্র সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তোলন করে কালো বাজারে বিক্রি করেন। এর আর্থিক মূল্য সরকারী আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ