Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতেন

শোক দিবসের আলোচনায় আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই হতেন তাহলে ইনডেমনিটি বিল বাতিল করতেন। তিনি সেটি না করে বরং অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকীর শোকসভায় এ কথা বলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এ সভার আয়োজন করে। আইনমন্ত্রী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
আনিসুল হক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন, তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত না করে বাতিল করতেন ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনিদেরকে ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।
বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না। তিনি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করে জনগণকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং অধিকার আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এরপর জনগণ যখন তাকে ম্যান্ডেট দিয়েছেন, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু সেটি করে দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ যে আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা বঙ্গবন্ধুর তৈরি করে দেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই আইনি কাঠামো পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ