পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের মতো ডেঙ্গু নিয়ে প্রচারণা নেই। প্রচারণা না থাকলেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ জন।
গতকাল সোমবার সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২১৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৯০ জন। তবে তাদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৮৯৫ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২৩৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৫০ জন। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪৬ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়। গত জুন মাসে সংক্রমণের সংখ্যা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জন। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন। জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রæত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে চিত্রটি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে। আগস্টের চার সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগী দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৩২ জন।
রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বছরের প্রথম সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও পরের মাসের মাত্র ২৯ দিনে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে। সে সময় ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
তবে ২০২১ সালে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। অথচ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন প্রত্যাশা অনুযায়ী ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা মারার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যারা কারণে গত রোববার ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন বিক্ষুব্ধ মানুষ নগরভবনে এসে এসিড মশার লার্ভা মেয়রকে উপহার দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।