পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুরস্কে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৮ আগস্ট দুপুরে ঢাকা থেকে ইস্তানবুলে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান। ইস্তাম্বুলে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মুহসিন দেরে এবং তুর্কি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইসমাইল দেমিরের সাথে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান। সাক্ষাতে উভয়েই তুরস্কের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জামাদিসহ সকল প্রকার সহযোগিতা এবং সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পরে সেনাবাহিনী প্রধান আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলা ২০২১ এর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং সেখান প্রদর্শিত নানাবিধ সামরিক সরঞ্জামাদির ব্যাপারে অবহিত হন।
ইস্তাম্বুল থেকে আঙ্কারা পৌঁছালে সেনাপ্রধান সেখানে অবস্থিত মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এর সমাধিস্থল ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। আঙ্কারা অবস্থানকালে সেনাপ্রধান তুর্কি চিফ অব ল্যান্ড ফোর্সেস জেনারেল মুসা আভ সেভের এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসের গুলেরের সাথে সাক্ষাৎ করেন। উভয়ের সাথে সাক্ষাতে তুরস্ক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান। আলোচনায় উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ, প্রশিক্ষণ বিনিময়, ইত্যাদি বিষয়সমূহ প্রাধান্য পায়। তুরস্ক সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি আনম্যানড্ এরিয়াল সিস্টেম (ইউএএস) এর অপারেশন কন্ট্রোল রুম, আর্মি এভিয়েশন সদর দফতর এবং তুরস্ক এর এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ ।
সফরের শেষ দিনে সেনাবাহিনী প্রধান তুরস্কের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (এনডিইউ) পরিদর্শন করেন এবং এনডিইউ এর কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাকে সেখানে অবহিত করা হয়। এনডিইউ’র রেক্টর ইরহান আফইয়োনজু সেখানে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তুরস্কের ১ম আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেমাল ইয়েনি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেনাপ্রধানের এই সফরের মাধ্যমে তুরস্ক এবং বাংলাদেশ তথা উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। -আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।