লকডাউনের সুফল আসতে শুরু করেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০২ জন। এর আগে গত ২৮ জুন একদিনে ১০৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই হিসাবে গত দুই মাসের মধ্যে গতকাল সর্বনিম্ন মৃত্যুর খবর দিলো অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০২ জনকে নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেলেন ২৫ হাজার ৭২৯ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩১৪ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৪ হাজার ১৬৭টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ১১১টি। দেশে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ১৮৬টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাক ৭৪ হাজার ৫৭৯টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০২ জনের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন আর নারী ৫০ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৬ হাজার ৭৬০ জন এবং নারী মারা গেলেন ৮ হাজার ৯৬৯ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং নারী ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ সময়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে ২ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জন, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৫ জন করে, খুলনা বিভাগের ৮ জন, বরিশাল বিভাগের ৬ জন, সিলেট বিভাগের ১৩ জন ও রংপুর বিভাগের আছেন ৪ জন।

১০২ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৭৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জন এবং বাড়িতে একজন।