পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ১/১১ এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘পরিকল্পনা’ বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ১/১১ এর যে ষড়যন্ত্রটা, সেই ষড়যন্ত্রের মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন চলে গেছে কিন্তু ষড়যন্ত্রটা যায়নি। এটা অব্যাহত আছে এবং তা ধারাবাহিকভাবেই এখনো ১/১১ এর কার্যক্রম চলছে আরো নিশ্চিতভাবে।
বর্তমান সরকারকে ‘১/১১ সফল’ উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ১/১১ যে ষড়যন্ত্র করার জন্য হয়েছিলো, সেই ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করা এবং সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে বর্তমান সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার ওপর। তিনি সেই মঈন-ফখরুদ্দিনের কর্ম পরিধি একের পর এক ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তার নিষ্ঠুর আচরণে গণতন্ত্রের তো কোনো খবর নাই, কোথায় আছে ইলিয়াস আলীর মতো গুম হয়ে গেছে গণতন্ত্র। এই নিখোঁজ গণতন্ত্র খুঁজে পাওয়ার একটা কঠিন পরীক্ষা আমাদের দিতে হচ্ছে। কবে পাবো জানি না? অনিশ্চিত পথ তারপরও এই পথ অতিক্রম করতে হবে। গণতন্ত্রকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। জনগণের গণতন্ত্র জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে। এটা একটা কঠিন কাজ হয়ে গেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ এর উদ্যোগে বিএনপির প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহের স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়।
১/১১ এর সময়ে বিএনপির ‘দুঃসময়ে’ দলের নেতা আসম হান্নান শাহের ভূমিকার কথা স্মৃতিচারন করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিনি (হান্নান শাহ) নিজের শরীরের দিকেও তাকাননি। তার হৃদযন্ত্রের চারটা ব্লক আছে, সেটার চিকিৎসা না করে তিনি দলের প্রতি সার্বক্ষণিক নিবেদিত ছিলেন।”
১/১১ এর সময়কাল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্য একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময়টা না আসলে উনি(খালেদা জিয়া) বুঝতে পারতেন না, কে তার প্রকৃত বন্ধু, কে শত্রু, রাজনীতিতে তার সাথে শেষ সময় পর্যন্ত কে হাঁটবে, কে হাঁটবে না।
মরহুম হান্নান শাহের একটি উপলব্ধির কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, হান্নান ভাইয়ের অতৃপ্ত কথা থেকে বলছি, এখনো আমার সন্দেহ হয়, আদৌ কি আমাদের নেত্রী এখনো আসল-নকল চিনতে পারছেন। এখনো কি উনার সাথে যারা চলেন তারা সকলে সঠিক, কেউ বেঠিক না। সকলেই রাজনীতিতে সৎ মানসিকতা নিয়ে উনার পাশে আছে? না, আবারো আরেকটা ১/১১ এর মতো কোনো দুর্যোগের জন্য অপেক্ষা করলে আরেকটা ছোবল মারার জন্য।এটা হান্নান শাহের একটি তিক্ত কথা, তার উপলব্ধি।
আমি বলতে চাই, মানুষ বিপদে না পড়লে মানুষ চেনা যায় না। আবার অনেক মানুষ আছে বিপদের পড়েও মানুষ চিতে পারে না। সেই যে বিপদে পড়ে না চিনতে পারার মতো যদি বেগম খালেদা জিয়া হয়, তাহলে আমাদের দুর্ভোগ আরো আরো কঠিন হবে, জটিল হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমার বিশ্বাস বেগম খালেদা জিয়া যদি সঠিক মানুষ চিনতে পারেন, হান্নান শাহর মতো, কষ্টি পাথরে যাচাই করার মতো উনার কাছে যদি থাকে। তিনি সত্যিকার অর্থে চিনতে পারেন, তবে আমি জানি এই দুর্ভোগের মেয়াদ বেশিদিন নাই, খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এই দুর্ভোগ আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
সংগঠনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।