পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও দেশের ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সুপারিশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে উন্নয়ন কাজ তদারকির জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তাদের নির্বাচনী এলাকার প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের জন্য বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, শফিকুল আজম খাঁন, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের নির্বাচনী এলাকার রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের তদারকি করবেন বলে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি বলেছিলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রেলওয়ের উন্নয়নে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নির্বাচনী এলাকার লোকজন যাতে ভবিষ্যতেও জনপ্রতিনিধিদের কীর্তি স্মরণ রাখেন, সে জন্য তাদের নির্বাচনি এলাকার স্টেশনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আধুনিকায়নের নির্দেশনা দেওয়া দরকার।’ এ সময় তিনি আশির দশকে নির্মিত চট্টগ্রাম রেলস্টেশনটি জরাজীর্ণ রয়েছে উল্লেখ করে উষ্ষা প্রকাশ করেন।
ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় রেলওয়ের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে তথ্যাদি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা সংসদ সদস্যদের তদারকি কাজে সহযোগিতা করবেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করে লাভজনক প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থ ব্যয় না করে শেয়ারিং অথবা জয়েন্ট ভেঞ্চার পদ্ধতিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া রেলওয়ের স্ক্র্যাপ পরিমাপের ক্ষেত্রে স্কেল ব্যবহার এবং ক্যারেজ মেরামতের ক্ষেত্রে মানসম্মত স্টিল ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৭ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন স্ক্রাপ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৫ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩৮৭টি খালি ড্রাম বিক্রির এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৪ টাকা জমাদানের অপেক্ষায় আছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্ক্রাপ মালামাল বিক্রি করে পূর্বাঞ্চল ৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং পশ্চিমাঞ্চল ১২ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
আরো জানানো হয়, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে ৫ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন স্ক্রাপ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন স্ক্রাপ বিক্রির দরপত্র খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। এক হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন বিক্রির দরপত্র আহ্বানের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩৮৭টি খালি ড্রাম বিক্রির এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৪ টাকা জমাদানের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ৭১৭ মেট্রিক টন স্ক্রাপ বিক্রির অর্থ জমাদানের অপেক্ষায় আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।