পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে দুঃশাসন ও নৃশংতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যুশয্যায় থাকা নারী নেত্রী আইভি রহমানকে খালেদা জিয়া সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) দেখতে যাবেন বলে তার পুত্র-কন্যাদের ৩/৪ ঘণ্টা অন্য একটি রুমে আটকে রাখা হয়। আর খালেদা জিয়া যখন দেখে ফিরে আসেন তারপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ কথাটা অনেকেরই জানা নেই, আমি এটা জানিয়ে রাখলাম। যে কতবড় নৃশংসতা এরা করতে পারে।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতির সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের পরিকল্পনা বিভাগে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের শুরুতেই ভয়াল-নৃশংস্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রখ্যাত নারী নেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের দিনে আমার আইভি চাচীর কথাই বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা অবাক কান্ড আপনারা হয়তো জানেন না তাকে যখন সিএমএইচএ নিয়ে যাওয়া হয়, তার ছেলে-মেয়েরা তার কাছেই ছিল। আমরা ঠিক জানি না কখন ও কোন মুহূর্তে তিনি (গ্রেনেড হামলায় আহত আইভি রহমান) মৃত্যুবরণ করেছেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী তাকে দেখতে যাবেন বলে তাঁর ছেলে-মেয়েকে বাইরে বের করে আটকে রাখা হয়। প্রায় ৩/৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বোন তানিয়া ও ময়না এদের সবাইকে একটা রুমে তালা দিয়ে রেখে তারপর খালেদা জিয়া যান আইভি রহমানকে দেখতে। খালেদা জিয়া চলে যাবার পরই আইভি রহমানকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কত বড় নৃশংসতা এরা (খালেদা জিয়া) করতে পারে। খালেদা জিয়া যখন দেখে ফিরে আসেন, তারপরই তাকে (আইভি রহমান) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হয়তো কথাটা অনেকেই জানেন না। আমি এটা জানিয়ে রাখলাম।
ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের লাশ হস্তান্তর নিয়েও তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অমানবিক আচরণের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, শুধু হত্যার চেষ্টাই না, হত্যার পর লাশ নিয়ে বা মৃতদের নিয়েও তাদের যে কর্মকান্ড তা অত্যন্ত জঘন্য কর্মকান্ড ছিল। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ দিতে চায়নি। লাশ আত্মীয়-স্বজনের কাছে দেবে না। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এবং যারা জীবিত তারা আহতদের সাহায্য করতে ছুটে যায়। এরপর সারারাত তাদের চেষ্টার পর একে একে সেই লাশগুলো আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, লাশটা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দিতে চায়নি। পারলে লাশটা গুম করে ফেলত, এই অবস্থা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা প্রদানসহ তাদের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, একে একে অনেকেই আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের তিনি দেশে, ভারতে এবং অন্য দেশে পাঠিয়েও চিকিৎসা করান। যাদের অনেকেই আজ আর নেই, মারা গেছেন। আবার অনেকেই গ্রেনেডের আঘাতে পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইভি রহমানসহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, আমি আইভি চাচীর জন্য দোয়া চাই এবং যারা মারা গেছেন সবার জন্য দোয়া চাই। আমাদের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছি এবং সে সময় একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে যে ফান্ড এসেছে তা থেকে চিকিৎসাধীন প্রত্যেককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি এবং এখনও আমরা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আহত যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের সহায়তা দিচ্ছি, মাসোহারা দিচ্ছি, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে-শাদী যত রকমের সহযোগিতা দরকার আমি এখনও তা করে যাচ্ছি। যাদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল আর্থিকভাবে তাদের সাহায্য এখনও অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।