Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানসম্পন্ন কৃষিপণ্য রফতানিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

একনেকে ৫৪৪১ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প সাতটি আর একটি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে ২ হাজার ৬০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। গতকাল একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে অনুমোদন দেন। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পগুলো হলো- বিদেশে সবজি রফতানিতে নিরাপত্তা ও গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখতে ঢাকার শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে স্থাপিত উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর করা। এ লক্ষ্যে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে কৃষি থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হয়। সঠিকভাবে মান যাচাই করে কৃষিপণ্য রফতানি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে করে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম আরও বাড়ে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রফতানির জন্য আরও শতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রমে বালাই শনাক্তকরণে আন্তর্জাতিকমানের ল্যাবরেটরি স্থাপনের নিমিত্তে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের বিদ্যমান ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করা এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করা। জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ নির্মিত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩১৫ বর্গফুট বিদ্যমান উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরি ভবন, ভৌত অবকাঠামো মেরামত, ল্যাবরেটরি (মাইকোলজি, ব্যাকটেরিওলজি, ভাইরোলজি, নেমাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি) যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করা হবে। ১৮০ জন কর্মকর্তাকে স্থানীয় প্রশিক্ষণ ও ৬ কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ সংরক্ষণ কনভেনশনের স্ট্যান্ডার্ড সেটিং বডির প্রণীত বিধি-বিধান অনুসরণ করার দক্ষতা অর্জন করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বর্ণিতাবস্থায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রস্তাবিত ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়িত হবে।

বাকি প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হার্বারের আদলে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর। ১১শ মিটার দীর্ঘের এ ব্রিজটি দেখতে ধনুকের মতো হবে। নদীর মধ্যে কোনো পিলার থাকবে না। এটাকে দেশের প্রথম মডেল ব্রিজ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পে চীনের নেতৃত্বাধীন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণ সহায়তা ১ হাজার ৯৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহে ‘কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এছাড়া আরও রয়েছে ৬৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারগঞ্জ-কায়রা- মনসুরগঞ্জ (কাজীপুর)- আবদুল্লাহ মোড় (সরিষাবাড়ী)- ধনবাড়ী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ২০৯ কোটি টাকা ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা (৩ পর্যায়) প্রকল্প। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি ২৫ টাকা। দিনাজপুর জেলার ঢেপা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি টাকা আর বিদ্যমান গ্রিড উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭৭৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে আরবান রেজাইল্যান্স প্রজেক্ট: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রকল্প ব্যয় ৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ