Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বরিশালের ঘটনা প্রয়োজনে তদন্ত করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ৫:৫৮ পিএম

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা প্রয়োজনে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রবিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ঘটনার তদন্ত অবশ্যই করা হবে। সবকিছুই তদন্ত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন যেমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব পালন করার জন্য সুযোগ করে দিতে হবে, স্ব-স্ব মর্যাদার প্রতি সম্মান রেখে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে যদি তদন্ত করার দরকার হয়, সেটা আমরা বিভিন্নভাবেই করি। তদন্তের বিষয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। কাজটি ফলাফল আকারে আসলে তখন হয়তো আপনারাও জানবেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে উভয়ই দায়িত্বশীল। তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ববোধের মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসন হবে। প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রশাসনের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, না, আমি একেবারেই তা মনে করি না। তিনি বলেন, মতপার্থক্য থাকতে পারে, এটা থাকবেই। পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমন মতপার্থক্য থাকে, বাবা-সন্তানের মধ্যেও মতপার্থক্য থাকে। আমরা যারা কাজ করি, আমাদের অধীনস্থদের সঙ্গেও মতপার্থক্য থাকে। তারপরও আমরা একসঙ্গে কাজ করি। কখনো-কখনো একটা বিষয়ে আমি এক রকম মনে করি, আবার আরেকজন অন্যরকম মনে করেন। সময়ের ব্যবধানে আমরা আবার উভয়েই ঐক্যমত্যে পৌঁছাই।

ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি বলেও মনে করেন সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘটনাটি এখন বেশি মাত্রায় নেই, এটি সমাধানের দিকে চলে যাচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ