দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো ১৫৯ জন। এতে দেখা যাচ্ছে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। আগের কয়েক সপ্তাহে প্রতিদিন মৃত্যু ছিল ২শ’র বেশি। এ সপ্তাহে প্রতিদিনই (১৩ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত) মৃত্যুর সংখ্যা ২শ’র নিচে আছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ জনের মৃত্যু গত দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল গত ৪ জুলাই ১৫৩ জন। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮৭৮ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, এক দিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০ জন।

এর আগে গত বুধবার ১৭২, মঙ্গলবার ১৯৮, সোমবার ১৭৪, রোববার ১৮৭ ও শনিবার ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এরপর থেকে প্রায় এক মাস প্রতিদিন ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২শ’র নিচে নামা শুরু করে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪২৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২২৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে মারা যাওয়া ১৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৬ জন, আর নারী ৮৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৬ হাজার ৩১৯ জন, আর নারী মারা গেলেন ৮ হাজার ৫৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫৯ জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন, আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
অপরদিকে বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ১২ জন, বরিশাল বিভাগের ১০ জন, সিলেট বিভাগের ২৩ জন, রংপুর বিভাগের ৮ জন, আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ৫ জন।
মারা যাওয়া ১৫৯ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১২৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালের মারা গেছেন ২৬ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন ৪ জন।