পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দুই বিষয়ের মধ্যে আছে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।
গতকাল সচিব সভায় (ভার্চুয়াল) এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খোলার নির্দেশনা দিয়ে সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া দরকার এবং সেটা খুব দ্রæত ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বলে না, আমাদের স্কুলগুলোও খোলা।
সভার পর বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সভার বিষয়বস্তু ও আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সভায় ১৭ জন সচিব বক্তব্য দেন।
সচিবসভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পরিস্থিতি তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার আওতায় আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগ পর্যন্ত অনলাইন ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেই দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সচিব সভায় স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) চ্যালেঞ্জ, ডেল্টা প্ল্যান, সবার জন্য টিকা নিশ্চিতকরণ, খাদ্য নিশ্চিতে গবেষণা, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়। কৃষির যান্ত্রিকীকরণ নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়নে সচিবদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও সচিব সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। এখন দেশের জন্য আপনাদের দেওয়ার পালা। কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
সরকারের পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান, সেগুলো মাথায় রেখে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন, দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি, অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন একইভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারই উপর ভিত্তি আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সেটা ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমাদের তো একটাই লক্ষ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশটাকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি ঠিক সে সময়ে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কোন ভাবে ব্যর্থ না হয়। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের পথে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।