পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নমুনা পরীক্ষা কম তবুও দেশে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে সামান্য হলেও নিম্নমুখী মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে এক দিনে আরো ৭ হাজার ২৪৮ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭২ জনের। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৭ হাজার ২৪৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হল। আর আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হল মোট ২৪ হাজার ৭১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যা আগের দিন ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ছিল। গত মঙ্গলবার সারা দেশে ৭ হাজার ৫৩৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়; মৃত্যু হয় ১৯৮ জনের। সে হিসেবে এক দিনে শনাক্ত রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজার ১৫২ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। আর এই সময়ে যে ১৭২ জন মারা গেছেন, তাদের ৬৭ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৯৪ জন পুরুষ এবং নারী ৭৮ জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ১৬ হাজার ২৪৩ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ হাজার ৪৭৬ জন।
সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১২ হাজার ১১২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন। দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৯৭ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক মানুষ এখন নিশ্চিতভাবে করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। জুলাইয়ে এই সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছিল।
দেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয়) বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে ১৪ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৩ আগস্ট। তার আগে গত ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এই ডেলটা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চলতি বছরের ১৫ আগস্ট তা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে; যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৭ জন, রাজশাহীতে ৮ জন, খুলনায় ১৬ জন, বরিশালে ৫ জন, সিলেটে ১৫ জন, রংপুরে ৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন এবং বাসায় ৩ জন।
বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২০ কোটি ৮৪ লাখের বেশি রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।