কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আলুর সুষ্ঠু বাজারজাতে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আলুর রপ্তানি বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা চলছে। আগামীতে আলুর রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাথে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ এসোসিয়েশনের প্রতিনিধদল বিকালে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় কৃষি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, কোল্ডস্টোরেজ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুষ্টি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসতিয়াক আহমেদ, ময়নাকুটি কোল্ডস্টোরেজের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, গতবছর করোনার শুরুর দিকে আমরা বিভিন্ন ত্রাণ কাজে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে ও রেশনে আলু বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এর ফলে আলুর ব্যবহার অনেক বেশি হয়েছিল এবং শেষদিকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এবছর উদ্ধৃৃত্ত আলুর বাজারজাতের জন্য উচ্চপর্যায়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোল্ডস্টোরেজ এসোসিয়েশনের প্রতিনিধদল কোল্ডস্টোরেজে মজুদকৃত ও উদ্ধত্ত আলু বিক্রিতে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বলেন, চলতি ২০২১ মৌসুমে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। বিপরীতে দেশে আলুর চাহিদা ৮৫-৯০ লাখ মেট্রিক টন। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টন আলু উদ্ধৃত্ত রয়েছে। এবছর প্রায় ৪০০ হিমাগারে ৫৫ লাখ টন খাবার আলু, বীজ আলু ও রপ্তানিযোগ্য আলু সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আলুর বাজারদর কম। সংরক্ষিত আলু বাজারজাত না করতে পারলে বিপুল পরিমাণ আলু অবিক্রিত থাকার সম্ভাবনা দেখা দিবে।

গতবছরের মতো এ বছরও ত্রাণসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে আলু বিতরণের দাবি জানিয়ে প্রতিনিধিদল বলেন, সরকারিভাবে ক্রয় করে ত্রাণ, কাবিখা, ভিজিএফ, ওএমএস, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রেশনে আলু বিতরণ করলে উদ্ধৃত্ত আলুর সুষ্ঠু ব্যবহার সম্ভব।