পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
==আজ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের ৫৩টি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেঞ্চগুলো পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বেঞ্চগুলোতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এ সংক্রান্তের জারি করা প্রাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্চুয়ালি হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুসারে সোমবার পর্যন্ত ১২টি বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ৮ আগস্ট বিকেলে সরকার ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সবকিছ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ জারি করে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চ (৫৩টি) ভার্চুয়ালি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫/৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা সংক্রমণ কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২/৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এ সময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে চারটি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬টি করা হয়েছিল। তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করায় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এর ফলে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র তিনটি বেঞ্চ চালু ছিল।
এরপর আবার সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি করোনার টিকা গ্রহণ করায় এবং কর্মকর্তা-কমর্চারীরা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে ফুলকোর্ট সভায় সোমবার পর্যন্ত ১২টি বেঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে নতুন সিদ্ধান্ত আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।