পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সব্বোর্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সকল তামাকপণ্যের মোড়কের উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করা জরুরি। পাশাপাশি বিদ্যমান সচিত্র বার্তাগুলোর ছবি ও বার্তা পরিবর্তন করা প্রয়োজন, যাতে করে মানুষ সহজেই সচেতন হতে পারে। একই সাথে চর্বণযোগ্য তামাকের বাজার ব্যবস্থার উপর নজরদারি করা উচিৎ যেন সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করা যায়। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভির্সিটি, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাষ্ট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)-এর আয়োজনে ‘আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন- বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা ও নাটাব-এর প্রেসিডেন্ট মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট, ডিআইইউ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, সিএলপিএর রিসার্চ কনসালটেন্ট ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের প্রাক্তন ভাইস প্রিন্সিপাল আ ফ ম সারোয়ার, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, তামাক জাতীয় পণ্যের মোড়কে ৯০ শতাংশ ক্ষতিকর ছবি যুক্ত করা প্রয়োজন। তামাক মুক্ত দেশ গড়তে সরকারি কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, কোন সন্দেহ নাই তামাক ক্ষতিকর, কোন সন্দেহ নাই এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? তামাক নিয়ন্ত্রণে ট্যাক্স বাড়াতে হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তগুলো আসছে মন্থর গতিতে। তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রোগী বাড়বে। এভাবে রোগী বাড়লে ভবিষতে চিকিৎসা দিতে পারব না। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমলা, রাজনীতিবিদসহ সকল স্তরের মানুষের। এজন্য একটা গাইড লাইন দরকার। দীর্ঘ মেয়াদী পলিসি নিতে হবে।হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত করবেন। সরকার প্রধানের এই ঘোষনা বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখবে সরকারি কর্মকর্তাগণ। সরকারের চাইতে বড় কে আছে? কারা প্রেসার গ্রুপ তাদের নাম বলুন। সরকার পারে না এমন কোন কাজ নেই। তামাক বন্ধে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘোষনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে ঘোষনা বাস্তবায়নে বড় বাধা একটা প্রেসার গ্রুপ। সেই গ্রুপের প্রেসারে অনেক সময় কাজের গতিটা কমে যায়। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করেই আমরা ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করব।
বাটা’র কো অর্ডিনেটর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক পণ্যের মোড়কে ৯০ ক্ষতিকর ছবি যুক্ করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর এসকল সভায় এনটিসিস ‘র প্রতিনিধি থাকলে ভালো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২০২০-২১ সালে দেশের ১৬টি জেলায় তামাক পণ্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে এবং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।