পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে ২১১ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। আর ১৩ জন রয়েছেন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে। হাসপাতালে মোট ভর্তি ৯৪৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৯০০ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৬ জন রয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ভর্তি ২২৪ জনের মধ্যে ঢাকায় সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৬১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৫০ জনসহ মোট ২১১ জন রোগী ভর্তি হন। অপরদিকে ঢাকার বাইরে ১৩ রোগীর মধ্যে ঢাকা বিভাগে (ঢাকা জেলা ব্যতীত) ৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ২, ময়মনসিংহ বিভাগে ২, রংপুরে ২, বরিশালে ১ জন ও খুলনা বিভাগে ১ জন ভর্তি হন।
এছাড়া চলতি মওসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে মৃত ১০ জনের তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু নিশ্চিত করেনি পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে মোট ৪ হাজার ৫৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৫৮৭ জন।
এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু সন্দেহে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার জন্য রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটি এখনও পর্যালোচনা শেষ করতে পারেনি। একটি মৃত্যুও ডেঙ্গুতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর। এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে তাদের পর্যালোচনার এখতিয়ার ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, ডেঙ্গুতে যেসব মৃত্যু হবে তাদের ফাইল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে আইইডিসিআর। তারা বøাড স্যাম্পলও চায়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কোনো রোগী ভর্তি হলে বোঝা যায় না রোগী মারা যাবে নাকি সুস্থ হবে। যার কারণে রক্তের সøাইড সংরক্ষণ করা হয় না। ২৪ ঘণ্টা পর সেগুলো নষ্ট করা হয়। ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা রাখতে হলে প্রচুর নমুনা জমে যাবে। তা সত্তে¡ও আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা নেব। প্রশ্ন হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুদের মৃত্যু ডেঙ্গুতে না অন্য রোগে তা নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানতে আইইডিসিআরের আর কতদিন লাগবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।