পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ রোগীই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০ জন। আর চলতি আগস্ট মাসের ৬ দিনেই ১ হাজার ৪৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজার ১১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৫ জন। একই সঙ্গে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু সন্দেহে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার জন্য রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে ২০২০ সালের জুন ও জুলাই মাসের তুলনায় ২০২১ সালের দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে ৬০ গুণ! আবার শুধু আগস্টের হিসাব ধরলে সেটা ছাড়িয়ে যায় ৭০ গুণ। রাজধানীতে ডেঙ্গু ভয়াবহভাবে বেড়ে যাবে, সে আকাক্সক্ষা আগেই বলেছিলেন কীটতত্ত¡বিদরা। গত জুনেই তারা বলেছিলেন, দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু বেশ কয়েকগুণ বাড়বে।
গতকাল শুক্রবার সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৫ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৬ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশে নতুন ২১৪ জন ডেঙ্গু রোগে শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১১ জন। বাকি ৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মূলত জুন থেকে সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর মৌসুম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতবছরের জুনে ২০ জন, জুলাইয়ে ২৩ জন, আগস্টে ৬৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। আর এবারের আগস্টেই গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন আড়াইশ’ জন করে। চলতি বছরের জুনে ২৭২, জুলাইয়ে ২২৮৬ জন এবং আগস্টের প্রথম চার দিনে ১ হাজার ২৫ জন আক্রান্ত হন।
চলতি বছর জুন থেকে আগস্টের প্রথম চারদিন পর্যন্ত মোট ৬৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮৩ জন। গত বছরের আগস্টের প্রথম চার দিন আক্রান্ত ছিল মাত্র ৫১ জন। সেই হিসাবে চলতি বছরের এই সময়ে রোগী বেড়েছে ৭০ গুণ।
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত¡বিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, চলতি বছরের জুনের শুরু থেকেই বলে আসছি ডেঙ্গু বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন কান দেয়নি। উত্তরের মেয়র মাঠে কিছুটা সরব ছিলেন। তারা কিছু কাজ করেছেন। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট ছিল না। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, এখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সিটি কর্পোরেশনের অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কমিটি করতে হবে। প্রতিটি কমিটিতে একজন লার্ভিসাইডিং স্প্রেম্যান ও একজন অ্যাডাল্টিসাইডিং স্প্রেম্যান দিতে হবে। এদের সঙ্গে একজন ক্লিনার রাখতে হবে। নেতৃত্ব দেবেন জনপ্রতিনিধিরা। একযোগে কাজটি করতে হবে।
জানতে চাইলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ারম্যান ও কীটতত্ত¡বিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন উড়ন্ত মশা মারা। বেশি বেশি ফগিং করতে হবে। লার্ভা পরে মারতে হবে। কারণ উড়ন্ত মশাগুলো তো আক্রান্ত করছে। যেসব এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে, সেসব এলাকায় ওষুধ ছিটাতে হবে আগে। তিনি আরও বলেন, অভিযানগুলোতে লক্ষ্য করছি ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে জরিমানা করছে। কিন্তু লার্ভাগুলো ধ্বংস করে আসছে না।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শুরুতে বছরের অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে ঢাকায় কিউল্যাক্স মশা বেড়েছে চার গুণ। আগে যেখানে প্রতি ডিপ-এ (মশার ঘনত্ব বের করার পরিমাপক) মশার ঘনত্ব ছিল ১০-১৫টি, সেখানে ফেব্রæয়ারিতে তা ৫০টিরও বেশি দেখা যায়। মশা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের অবহেলা ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই দায়ী করছেন কীটতত্ত¡বিদরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।