পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, আমলাদের খেয়ালিপনা এবং মন্ত্রীদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী তথ্যউপাত্ত উপস্থাপনের প্রতিযোগিতা চলছে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গতকালও ২৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে কতজন মারা গেছে তার হিসাব নেই। কয়েকটি হাসপাতালে অনুসন্ধানে দেখা গেছে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ মারা যাচ্ছে উপসর্গ নিয়ে। করোনা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর কৌশল হলো গণটিকা কার্যক্রম। অথচ টিকা দেয়া নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা যেন গ্রামের বালক-বালিকাদের মতো চড়ুইভাতি খেলছেন। টিকা দেয়া নিয়ে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, আজগোবি তথ্য দেয়া এবং স্ববিরোধী সিদ্ধান্তে মানুষ অতিষ্ঠ। একই সঙ্গে টিকা নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পরস্পরবিরোধী কথাবার্তায় মানুষ ত্যক্তবিরক্ত। অথচ লাখ লাখ মানুষ টিকা নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। নিবন্ধন করে এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করছেন লাখ লাখ মানুষ। কেউ নিবন্ধন করছেন। সবার প্রত্যাশা করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নিতেই হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশের শরীরেই করোনা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গতকাল এক অনুষ্ঠানে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশের সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সারাদেশব্যাপী রোগীদের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এ গবেষণা করা হয়।
টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কেটে গেছে। সবাই এখন টিকা নিতে প্রস্তুত। ৩ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর ঘোষণা দেয়া হয়, ৭ আগস্ট ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এক সপ্তাহে টিকা দেয়া হবে এক কোটি মানুষকে। গ্রামের মানুষকে টিকা নিতে কেন্দ্রে আসতে হবে না, ক্যাম্পের লোকজন গিয়ে টিকা দেবেন। নিবন্ধন ছাড়াই টিকা নেয়া যাবে; এমনকি পার্বত্য জেলাগুলোতে টিকা নেয়ার পর নিবন্ধন করা হবে। এ সময় মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দিয়ে বলা হয় ১৮ বছরে বেশি বয়সি কেউ টিকা ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারবেন না। যারা বের হবেন প্রয়োজন অধ্যাদেশ জারি করে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে পরের দিন ৪ আগস্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। দেশে লাখ লাখ মানুষ টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করে ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম দিন ৩২ লাখ টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ঘোষণা দেয়া হয় ৭ আগস্ট থেকে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেয়া শুরু হবে। প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ থেকে ৫টি পর্যন্ত টিকা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। দেশে ৪৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৩২৮টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশন রয়েছে। ৪ আগস্টের বৈঠকে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে টিকাদান বুথ করে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বলা হয়, টিকা নিতে নিবন্ধন লাগবে না, আইডি কার্ড সঙ্গে নিলেই হবে। কিন্তু গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন ছাড়া কাউকে করোনার টিকা দেয়া হবে না। ৭ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এক সপ্তাহ পর ১৪ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পুরোদমে চলবে গণটিকা কার্যক্রম। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নিয়ে মানুষ বিরূপ মন্তব্য করছেন।
আবার করোনার টিকা নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নানান তথ্য দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন এক তথ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিচ্ছেন অন্য তথ্য। আবার মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। করোনার টিকা আর লকডাউন নিযে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তথ্য দেয়ার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহর ছাড়াও সারাদেশের গ্রামগঞ্জের যারা টিকা নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ দেশের সকল নাগরিককে সরকারের টিকা দেয়ার স্বক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। টিকা নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের এহেন কর্মকাÐে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু কঠোর সমালোচনা করছেন।
দেশের কোটি কোটি মানুষ যখন টিকা নেয়ার জন্য উদগ্রীব; চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসছে। সরকারের হিসাব মতে, প্রায় দুই কোটি ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে অর্ধকোটি ডোজ টিকা এখনো মজুত রয়েছে। তখন সরকারের টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেন এই সমন্বয়হীনতা? মন্ত্রীদের মধ্যে কেন এই নানামুখী তথ্য দেয়ার প্রতিযোগিতা? গণটিকা কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রীদের পরস্পরবিরোধী তথ্য এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আমলাদের সকাল বিকেল সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যে ভাইরাস মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, সেটার নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় টিকা নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গ্রাম্য বালক-বালিকাদের মতো চড়–রভাতি খেলার মতো ছেলেমি আচরণ কাম্য নয়।
টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন, দেশে ২১ কোটি ডোজ টিকা আসবে। বাস্তবচিত্র কিন্তু ভিন্ন। টিকা স্বল্পতার কারণেই গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেয়ার কার্যক্রম বাঁধার মুখে পড়ে গেছে। গণটিকা দেয়ার কর্মসূচি এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেয়ার পাশাপাশি এক সাপ্তাহের টিকা কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একদিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে সরকার এক সপ্তাহের কর্মসূচিতে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করে। একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানান, টিকার ডোজের স্বল্পতার কারণে ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট টিকাদান কর্মসূচির সময়সীমা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কোনো দেশের জনগোষ্ঠীর অন্তত ৮০ শতাংশকে টিকা নিতে হবে।
চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে সেই টিকা প্রয়োগ করা হয়। ওই দিনই টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনের জন্য ওয়েব প্লাটফর্ম ‘সুরক্ষা’ চালু করা হয়। সেখানে নিবন্ধিতদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয় ৭ ফেব্রæয়ারি। প্রথম দফা টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারিতে থাকা মানুষরা এবং সাধারণ মানুষের বয়সসীমা ৫৫ বছরের বেশি করা হয়। পরবর্তী সময়ে সেই বয়সসীমা ৪৫ বছর করা হয়। অতপর সেটা ৪০ বছর, আবার ৩৫ বছর পরবর্তীতে ২৫ বছর করা হয়। ঘোষণা দেয়া হয় আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সিরা টিকা নিতে পারবেন। এ্কই সঙ্গে জানানো হয়, নিবন্ধন ছাড়াও শুধু আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে এলেও টিকা দেয়া হবে। গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেয়ার জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ আগস্ট দেয়া তথ্যে দেখা যায় করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন এক কোটি ৯ হাজার ৯৫৩ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জন। এতে দেখা যায় এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ নেয়া ৫৫৯৯৮২২ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাননি। আর নিবন্ধন করেছেন ১৬৬৮৯০৩৫ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৪০৮৯২০১ জন। নিবন্ধন করেও টিকা নিতে পারেননি এখনো ২৫৯৯৮৩৪ জন।
বর্তমানে গ্রাম ও জেলা শহরগুলোতে চীনের সিনোফার্ম টিকা ও সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকাগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে ক্রয় করা সেরামের টিকা ভারত সরকার আটকে দেয়ায় টিকা ডোজের স্বল্পতার কারণে গণটিকাদান কর্মসূচি ২৬ এপ্রিল প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়। এর ৯ দিন পরে নিবন্ধন প্রক্রিয়াও স্থগিত করে দেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস পর ১৯ জুন থেকে সরকার সীমিত আকারে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে এর আওতা বাড়ায়।
ঢাকা মহানগরের বাইরে টিকা দেওয়ার বিষয়ে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, নির্দেশনা অনুসারে ৭ দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি ঠিক করলেও বাস্তবে টিকা দেওয়া হবে ৩ দিন। এ কর্মসূচির আওতায় সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৪ হাজার কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৬০০ জন করে ৮৪ লাখ মানুষকে এবং সিটি করপোরেশনের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আলাদাভাবে আরো ১৬ লাখ টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে কেন্দ্র বাছাই করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশে অন্তত ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত সর্বত্র এ টিকা উৎসব চলবে।
এদিকে বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৩০০ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ। তবে বিএসএমএমইউ-এর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে ৩০-৩৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়স সীমাকেই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও যে কোভিড সংক্রমণ ঝুঁকি নেই, তা বলা যাচ্ছে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। যদিও এ গবেষণায় টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি চলমান রয়েছে।
করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে গত ডিসেম্বরে ইউকে বা আলফা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ হার বেশি ছিল। পরে মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ হার বেশি ছিল।
এদিকে গত এক মাসের ৩০০ স্যাম্পলের জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যায় মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা), ১ শতাংশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (বেটা) দ্বারা সংক্রমণ। যদিও গবেষণার প্রথম ১৫ দিনে এই সংখ্যা ছিল ৩ শতাংশ। একজন রোগীর ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট (তদন্তাধীন ভ্যারিয়েন্ট)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।