পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। গত বুধবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দরজা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দেশটি এখন করোনার পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি দিতে যাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারির বর্তমান পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের গুরুত্বের দিকটি স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিষয়টি আবার চালু করতে চায় তার প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে হলে করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়া থাকতে হবে বলে জানান হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা। তবে এই পরিকল্পনা ঠিক কবে থেকে কার্যকর করা হবে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানাননি।
করোনা মোকাবিলায় সবশেষ গত ২৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন সরকার। যদিও সীমান্ত খুলে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইউরোপীয় দেশগুলোর চাপ রয়েছে। তবে তারা এই চাপ পাশ কাটিয়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি ভ্রমণকারীদের প্রবেশের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রæপ কাজ করছে। তারা একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিরাপদ নতুন নিয়মনীতি তৈরি করছে। করোনা মহামারির কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, চীন ও ইরান থেকে ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এই তালিকায় যুক্ত করা হয় ভারত ও ব্রাজিলের নাম।
ইউরোপের দেশগুলোতেও করোনার কারণে মার্কিন ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাপ দেয় গ্রিস, স্পেন ও ইতালির মতো পর্যটননির্ভর কয়েকটি দেশ। আরও এক বছর পর্যটন খাতে ধসের আশঙ্কা থেকে এই দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাপ দেয়। তার প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের জুনে করোনার নেগেটিভ সনদ ও টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানোর শর্তে মার্কিন ভ্রমণকারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক অধিবাসীকে অন্তত এক ডোজ টিকার আওতায় আনার বাইডেনের লক্ষ্য পূরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে যারা টিকা নেননি, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। সংক্রমিত হয়ে এমন অনেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর জেরে দেশটির অনেক এলাকায় জনসমাগম হয়—এমন সব স্থানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিধি আবার জারি করা হয়েছে। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।