পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। চাহিদা স্থির থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে পাম ওয়েলের বুকিং দর বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় বাজারে পামওয়েলের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত দুই সপ্তাহে তেলটির দাম মণপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫০ টাকা।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পাইকারী ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারকরা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পাম ওয়েলের দাম উর্ধ্বমুখী। তারই প্রভাব এসে পড়েছে দেশীয় বাজারে।
এ সপ্তাহের শেষের দিকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতিমণ পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকা দরে। যা দুই সপ্তাহ আগে মাত্র ৩ হাজার ৮০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়েছে। সেই হিসেবে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মণে সাড়ে পাঁচশ টাকা বেড়েছে প্রতি মণ পাম অয়েলের দাম।
বর্তমানে খাতুনগঞ্জে টিকে গ্রুপের বে ফিশিং পাম অয়েল মণপ্রতি ৪৩০০ টাকা, এস আলম ৪২৯০ টাকা এবং সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের পাম অয়েল ৪২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাম ওয়েলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাম সুপার ওয়েল এবং সয়াবিনের দাম। মণে প্রায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পাম সুপার অয়েল ও সয়াবিনের দাম। দুই সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি মণ পাম সুপার অয়েল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টাকা দরে। মণে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বর্তমানে একই পাম সুপার অয়েল ৪ হাজার ৫৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাম সুপারের মধ্যে বর্তমানে টিকে গ্রুপের প্রতি মণ বে ফিশিং ৪৫৫০ টাকা, এস আলম ৪৫৪০ টাকা এবং অন্যান্য গ্রুপের পাম সুপার ওয়েল ৪৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৭৫০ টাকা দামে। যা গত দুই সপ্তাহ আগে ৪ হাজার ৬০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে, গত দুই সপ্তাহে সয়াবিনের দামও মণে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইনডেক্স মুন্ডির তথ্যমতে, ৩০ জুন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১০১৭ ডলারে। বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারিতে প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৯৯০ ডলার। এরপর ক্রমান্বয়ে বেড়ে ফেব্রুয়ারিতে ১০১৯ ডলার, মার্চে ১০৩০ ডলার, এপ্রিলে ১০৭৮ ডলার এবং মে তে সর্বোচ্চ ১১৫৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে, খরচসহ বর্তমানে প্রতিমণ পাম অয়েলের বুকিং দর ৩৯৪৪ টাকা। যা বর্তমানে ৪৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, খোলা পাম অয়েল এবং সয়াবিনের দাম উঠানামা আন্তর্জাতিক বাজার এবং লোকাল ট্রেডের উপর নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে লোকাল মার্কেটও চাঙ্গা হয়েছে। তবে আমরা কোন ভোজ্যতেলের দাম বাড়াইনি। আমরা সরকার নির্ধারিত দামে বোতলজাত তেল বিক্রি করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।