পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রমঃবর্ধিষ্ণু বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ই-মেলে এ নোটিশ পাঠান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালককে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের হার বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলে সম্প্রদায় বেশি হতাহত হচ্ছেন। সমীক্ষা মতে, বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে ‘বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা, ভ‚মিধসে নিহতের চেয়ে বেশি। গ্রামীণ জনপদের বিস্তীর্ণ জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সরকার যদিও বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। তথাপি বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা হ্রাসে এখন পর্যন্ত গৃহিত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ নিলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টি, আগাম সতর্কতামূলক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, হাওড়-বাওর এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, পাম গাছ রোপণ, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো, বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং বজ্রপাত থেকে বাঁচার বিভিন্ন কৌশল লিফলেট আকারে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বিতরণ করা।
উপরোক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।