পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের দুইটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া করোনা আক্রান্ত ১২ জন শিশুর সবার ভারতীয় ধরন (ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। শিশুদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। গত জুন ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এসব শিশুরা আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ১২ জনের মধ্যে আট জন বর্তমানে সুস্থ। চার জন এখনো চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ছয় জন মেয়ে। ৮০ ভাগ শিশুর বয়স ১০ বছরের মধ্যে। বাকি ২০ ভাগের বয়স ১৬ বছরের মধ্যে। ৯৫ ভাগ শিশুর উপসর্গ হিসেবে জ্বর এবং ৭০ ভাগের সর্দি-কাশি ছিল। আর এক শিশুর শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত জার্মানভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভা-ার ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা’-তে গৃহীত হয়েছে। শনিবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে তা প্রকাশও করা হয়।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী। গবেষকেরা বলছেন, শিশুরা সাধারণত জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আসছে। এছাড়া আক্রান্ত শিশুদের ক্লান্তি, দুর্বলতার লক্ষণও দেখা গেছে। গবেষক হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, মে মাস পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনার আলফা ও বিটা ধরনের প্রকোপ ছিল। কিন্তু জুন থেকে ৯০ শতাংশ রোগীর শরীরে ডেলটা ধরন দেখা গেছে। শিশুরাও বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছে।
গত জুন থেকে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে পাওয়া ডেলটা ধরনের কারণেই এমনটি হচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে শিশুদের ঘরের বাইরে জনসমাগমে নেয়া বাদ দেয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট কিংবা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়াসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।