পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ঘোষিত লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তে করোনা সংক্রমণের ব্যাপক বিস্তার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করে বলেন, লকডাউন শিথিল করে সরকার সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। গতকাল শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের যে পরিকল্পনাবিহীন উদ্যোগ, ঈদ উপলক্ষে লকডাউন উঠিয়ে দিলো এবং মানুষকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো। এবার কিন্তু করোনার বিস্তার ঢাকা না, গ্রামে। এই ঈদে সবাই বাড়ি যাবে আবার ওইখান থেকে যখন ঢাকায় ফেরত আসবে তখন করোনা নিয়ে সারা দেশে বিস্তার করার ব্যবস্থা করবে। কারণ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতীয়) খুবই সিরিয়াস ৭০% বেশি স্পিডে ছড়ায়। সুতরাং করোনাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে তাতে দেশে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত না হয়- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের দলের স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গ্রামের মানুষ ওষুধ-অক্সিজেন পাচ্ছে না। জেলা শহরের হাসপাতালগুলো শয্যা সংখ্যার সঙ্কটে তারা দুর্ভোগে পড়ছে। যার ফলে সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটা একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্যে আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের পক্ষ থেকে জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা দেবো। প্রতি জেলায় দলের কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাবের সহযোগিতায় করোনা হেলপ সেন্টার খুলেছি। এই পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫৩টা। ঈদের আগেই বাকি জেলাগুলোতে শেষ করতে পারবো। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের পাশে থাকবো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার বরগুনায় হেলপ সেন্টার আমরা খুলেছিলাম। কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ গিয়ে সেই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছে। বলেছে যে, বিএনপির সাহায্য সেবা লাগবে না।
তিনি বলেন, জেলার হেলপ সেন্টারগুলো থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থাও থাকবে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সেবা, ওষুধ সরবারহসহ বিভিন্ন সেবা পাবেন। সরকারের প্রণোদনা কোথায় যায় প্রশ্ন রেখে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সরকারকে প্রস্তাব করেছিলাম, লকডাউন সফল করতে হলে দরিদ্র, প্রান্তিক, কর্মহীন, দিন আনে দিন খায় মানুষের কাছে কমপক্ষে তিনটা মাস ১৫ হাজার টাকা পৌঁছিয়ে দিতে হবে। সেটা সরকার করেনি। উনারা প্রণোদনা ঘোষণা করেন। প্রণোদনাটা কোথায় দেয় আমরা কেউ জানি না। আপনারা যদি বস্তিগুলোতে গিয়ে দেখেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন প্রণোদনা টাকা তারা পায় কিনা-আমার মনে হয় যে, আপনারা সঠিক উত্তরটা পেয়ে যাবেন। সরকারকে বলব, আমরা জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছি। আমাদেরকে দয়া করে এই সহায়তাটা করতে দেন।
ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনের পর চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ের করোনা হেলপ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সস্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাখাওয়াত হাসান জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, মোশতাক আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ জেলা নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।