পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাজুক অবস্থায় রয়েছে রাজধানীর খালগুলো। দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় মৃত প্রায় রাজধানীর বেশিরভাগ খাল। ৭২ ফুট চওড়া থেকে কোথাও ৮ ফুট বা ১০ ফুট বিরাজমান। সিটি করপোরেশনে খালগুলো যুক্ত হবার পর থেকে চলছে খাল উচ্ছেদ অভিযান। কিন্তু এই অভিযানের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে গরুর হাট বসিয়েছে সাদেক এগ্রো লি.। বালু দিয়ে খাল ভরাট করে অস্থায়ী শেড বানিয়ে কোরবানির পশু রেখেছে খামারটি। এই খামারটি দেশের অন্যতম বড় একটি খামার। গত বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল হাটের গরু ছাগল সরবারহ করেছিল তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের এমনিতেই বেহাল দশা। খাল হলেও এটি বুঝার উপায় নেই। এলাকাবাসীর ময়লা ফেলার একটি স্থান। মোহাম্মাদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং
এর সাদেক এগ্রোর পিছনের দিকে খালে বালু দিয়ে ভরাট করে অস্থায়ী শেড বানিয়ে গরু রেখেছে এই খামারটি। এছাড়াও খাল ভরাট করে অবৈধভাবে দোকানপাট, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে খালের কিছু অংশ বালু ফেলে ভরাট করে সাদেক এগ্রো। সেখানে বাশ পুতে গরু রাখার ব্যবস্থা করে তারা। কোরবানির বেশ কিছুদিন আগে খালের মাঝ বরাবর বালু ফেলে ভরাট করে ফেলে খামারটি। এরপর বাশ দিয়ে শেড বানিয়ে গরু, ছাগল রাখে সাদেক এগ্রো। এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরো জানান, পুরো খালই অবৈধ দখলে। যার ক্ষমতা আছে সেই দখল করে। এখানে কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে সাদেক এগ্রোর সত্ত্বাধিকারি ইমরান হোসেনকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, শুধু সাদেক এগ্রো নয়, রামচন্দ্রপুর খাল দখলে অনেকে জড়িত। পুরো খালটি অস্তিত্ব সংকটে। আমি ডিএনসিসি মেয়র মহোদয়কে একাধিকবার এ বিষয়ে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন খালটি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি সাভাবিক হলে আশা করি খাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।
এ ওয়ার্ডটি ডিএনসিসির ৫ নং অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, খালগুলো বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সিটি করপোরেশনে যুক্ত হবার পর থেকে খাল উদ্ধানে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। লকডাউন শেষে অভিযান চালানো হবে। খালগুলো সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আসার পর বালু দিয়ে ভরাট করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গতবছর কোরবানির সময় মেয়র মহোদয় সাদেক এগ্রো দর্শনে এসেছিলেন। খামারটি ডিজিটাল হাটে পশু সরবরাহ করেছিল। দখলের বিষয়টি আমরা সম্পত্তি বিভাগকে জানাবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।