পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তৈরি পোশাকসহ নির্ধারিত সময়ে রফতানি চালান গন্তব্যে পৌঁছাতে চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে ফিডার জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে কন্টেইনার ও জাহাজ জটের কারণে বাংলাদেশে রফতানি পণ্যের জট সৃষ্টি হয়েছে। জটের কারণে রফতানি পণ্যবাহী কন্টেইনার মাদার ভেসেলে লোড করতে দেরি হচ্ছে। এ সঙ্কট নিরসনে সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে এক সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, মেইন লাইন অপারেটর, বিজিএমইএ, বাফাসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
সভায় বলা হয়, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে জট ও মাদার ভেসেল কানেকশন পেতে বিলম্ব হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ে দেশের পণ্য রফতানিতে। ফলে রফতানিকারকদের মধ্যে অস্থিরতরা বিরাজ করছে। সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারলে বিদেশি অর্ডার বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন রফতানিকারকেরা। অন্যদিকে বিদেশি লাইন অপারেটরগুলো তাদের কন্টেইনারের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ায় দিন দিন বাড়ছে রফতানি খরচ।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- বন্দর জেটিতে থাকা খালি ২০ ফুট কন্টেইনার দ্রæত ফোর্স শিপমেন্ট করা হবে এবং প্রাইভেট আইসিডি থেকে খালি ২০ ফুট কন্টেইনার বন্দর জেটিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে প্রাইভেট আইসিডিতে রফতানি পণ্য চালান হ্যান্ডলিংয়ে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।
প্রাইভেট আইসিডিতে রফতানির জন্য অপেক্ষমান ১৫ হাজার ৫৩৩ টিইইউস কন্টেইনারের মধ্যে ৭০ শতাংশ হচ্ছে মার্কস লাইনের। এই রফতানিবাহী কন্টেইনার সমূহ দ্রæত জাহাজীকরণের জন্য চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে ফিডার ভ্যাসেল বৃদ্ধি করবে মার্কস লাইন। অন্যান্য শিপিং লাইনের ফিডার ভ্যাসেলের মাধ্যমেও মার্কস লাইন রফতাানি কন্টেইনার চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। অন্যান্য শিপিং লাইনও একই রুটে ফিডার ভ্যাসেল চলাচল বৃদ্ধি করবে।
চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে শিপিং কোম্পানিগুলো নতুন ফিডার ভ্যাসেল পরিচালনার ক্ষেত্রে বন্দর কর্তৃক দ্রæত অনুমতি প্রদান এবং রফতানি পণ্য পরিবহনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বার্থিং সুবিধা প্রদান করবে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা কন্টেইনার জাহাজগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বার্থিং সুবিধা প্রদান এবং জেটির সংখ্যা বাড়ানো হবে। বিভিন্ন এমএলও ও ফিডার অপারেটদের মধ্যে কমন ক্যারিয়ার এগ্রিমেন্ট ও কন্টেইনার ডাইরেক্ট ইন্টারচেইঞ্জ দ্রæত বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।