পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও বৃদ্ধি কোথাও হ্রাস পাচ্ছে। আবার কোথাও স্থিতিশীল বা থমকে আছে। গতকাল সোমবার উত্তর জনপদের তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সকালে ঠিক বিপদসীমায় (৫২ দশমিক ৬০ মিটার) এবং বিকাল নাগাদ সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি ১২ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করে। ভারত নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে আবারও উজানে গজলডোবা বাঁধের সবক’টি গেইট খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছে। এরফলে ভাটিতে গড়াচ্ছে ঢলের পানি। তিস্তাপাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদ গতকালসহ কয়েক দফায় বন্যা প্লাবিত হয়েছে। ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ও হাজারো মানুষের কষ্ট-দুর্ভোগ অবর্ণনীয়।
তিস্তা ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারত থেকে আসা ঢলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুশিয়ারা ও খোয়াই নদী, পূর্বাঞ্চলে গোমতী ও মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যেই অনেক জায়গায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল থেকে ভাটি ও মোহনায় চাঁদপুর-নোয়াখালী পর্যন্ত নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জনবসতি, ফল-ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ-স্পার ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। চোখে অন্ধকার দেখছে নদীতীরের বাসিন্দারা।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩৫টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৭টিতে হ্রাস পায়। ৬টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। রোববার নদ-নদীর ৪১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৩টিতে হ্রাস পায়। শনিবার ৩৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৭০টিতে হ্রাস পায়। শুক্রবার ৫৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫৩টিতে হ্রাস পায়।
নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ও খোয়াই নদী ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও পূর্বাঞ্চলে মুহুরী নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলে গোমতী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাউবোর দশ দিনের পূর্বাভাস
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী দশ দিনের অন্তবর্তী পূর্বাভাসে জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানি আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কমে এরপর আবার বাড়তে পারে। আগামী ৭ দিনে আপাতত ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী ৫ দিন স্থিতিশীল থেকে এরপর বাড়তে পারে। আগামী ১০ দিনে আপাতত গঙ্গা-পদ্মা নদীর অববাহিকায় পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই। ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। এ অববাহিকায় পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।