পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মিরপুর কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ। তিনি বলেন, স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ও ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চাসহ সকল ক্ষেত্রে কলেজটি বিশেষভাবে সুনাম অর্জন করেছে। কিন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ঢাকা মহানগরীর অন্তর্গত মিরপুর কলেজ একটি স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পড়াশোনা ও ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা সহ সকল ক্ষেত্রে কলেজটি বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। আমি ২০১৩ সাল থেকে সরকারি সকল বিধিবিধান মেনে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কলেজের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি, ঢাকা-১৪ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য প্রয়াত আসলামুল হকের দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় বিগত দিনে কলেজের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যা সবাই অবগত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা বিরোধী কিছু ঘাপটি মেরে থাকা শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে কলেজের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিন্ত গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি, প্রয়াত সাংসদ আসলামুল হকের জীবদ্দশায় তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার সাহস পাননি। সভাপতি সাহেবের মৃত্যুর পর পরই এই চক্রটি তাদের দীর্ঘদিনের লালিত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। তারা বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও মনগড়া কিছু কাল্পনিক তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিসে দরখাস্ত জমা দেয়। তারা অর্থ দিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে নাম সর্বস্ব দুই একটি অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদপত্রে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত করে সংবাদ ছাপায় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। এভাবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে এই স্বনামধন্য কলেজের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ করেছে। অথচ খোদ অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ বলেন, আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে জানাতে চাই, বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষক নেতা ‘শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট’র চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ার সহযোগী একই সংগঠনের সদস্য মিরপুর কলেজের সাবেক দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ইসহাক হোসেন গং কর্তৃক, অত্র কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে আমার মতো মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাদের মিধ্যা অভিযোগের ভিত্তিতিতে দুই একটি মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে এখনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। যা আমার স্বনামধন্য কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছি। তবুও কতিপয় সুবিধাবাদী শিক্ষক আমার নিকট থেকে অবৈধ ও অন্যায় সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে নানাভাবে বিভিন্নজনকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ প্রদানের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু আমি আবারো দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরো জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে উল্লেখিত প্রতিটি ব্যয়সমূহ কলেজের সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক সম্পন্ন করাসহ বিজ্ঞ গভর্নিংবডি কর্তৃক তা রেজুলেশনের মাধ্যমে যথাযথভাবে অনুমোদিত রয়েছে। কলেজের বার্ষিক সকল আয়-ব্যয় অভ্যন্তরীণ এবং সি.এ ফার্ম কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর পর্যন্ত অডিট করা আছে। পত্রিকায় প্রকাশিত আমার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগের যথাযথ জবাব ও দালিলিক প্রমাণাদি কলেজে সংরক্ষিত আছে। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণের যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তাও সঠিক নয়। যদিও অভিযোগুলোর ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, যেহেতু তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি বা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে রিপোর্ট এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি, সেহেতু ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দু’টি গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচারের কারণে তদন্ত কাজকেও প্রভাবিত করেছে। তবে আমি আশা করি, অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করলে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং বাস্তবচিত্র সবার সামনে সঠিকভাবে উন্মোচিত হবে। এক্ষেত্রে আমি তদন্ত কমিটির কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।